সিলেটের বিশ্বনাথে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চোরের উপদ্রব। রাত নামলেই উপজেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে একাধিক চুরির ঘটনা।
খোয়া যাচ্ছে বাসাবাড়ি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ফ্যান ও টিউবয়েল আর কৃষকের গবাদি পশু। চোরেরা হানা দিচ্ছে ছোট-খাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও।
এমনকি, রেহাই পাচ্ছেনা মসজিদ, মন্দির। তালা ভেঙ্গে ধর্মীয় এসব উপাসনালয় লুট করছে চোরচক্র। শীত নামার আগেই চোরের এমন উপদ্রবে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে।
হয়রানি এড়াতে অধিকাংশ ঘটনায় মামলা হয়না থানায়। হলেও অধরা থেকে যায় চোর সিন্ডিকেট।
সূত্র জানায়, গেল শুক্রবার রাতে (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের কৃষক সাহিদ আলীর গবাদি পশু নিয়ে চোরেররা।
এর আগে দিন বৃহষ্পতিবার একই রাতে ইউনিয়নের বরুনী গ্রামের দুটি মসজিদে চুরি সংগঠিত হয়। পূর্ব বরুনী পশ্চিম ও পূর্ব বরুনী জামে মসজিদে চোরেরা তালা ভেঙ্গে ক্যাশবাক্স ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
একই কায়দায় গেল ১৫ সেপ্টেম্বর চুরি হয় উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের বায়তুন নূর জামে মসজিদে। এর আগে ক’দিন আগে চুরি হয় কাদিপুর লামারচক গ্রামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশসহ মালামাল ও কাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিলিংফ্যান ও মূল্যবান জিনিসপত্র।
গেল ২রা সেপ্টেম্বর উপজেলার ভল্লবপুর গ্রামে দু’রাতে চুরি হয় ৭টি টিউবওয়েল। পরদিন ভোরে পালানোর সমসয় টিউবওয়েলসহ দুই চোরকে আকট করে পুলিশে দেয় জনতা।
অনেকেই জানান, মাদকের অবাদ বিস্তারের কারণে দিনদিন উঠতি বয়সি তরুণেরা আসক্ত হচ্ছে। নেশার টাকার জোগান দিতেই জড়িয়ে পড়ছে চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, চুরি-ডাকাতি রোধে পুলিশ জোরালো ভাবেই কাজ করছে। ইতিমধ্যে চারজন চোর ও একজন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।