সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যাপক হারে দিন দিন চুরির বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সের যুবকরা চুরি, ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
এসব সংঘবদ্ধ চোরদের টার্গেট বাড়ির টিউবওয়েল, টিনসেডের দোকান, ঘরের জানালা ভেঙ্গে বা কৌশলে মোবাইল চুরিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৭ দিনে থানা পুলিশের অভিযানে ৪ চোর ও এক কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে উপজেলা জুড়ে বেশ কয়েটি স্থানে চুরি সংঘটিত হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কাদিপুর লামারচক গ্রামে একটি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে।
চোরেরা হেপী ভেরাইটিজ স্টোরের নামের দোকানের টিন খুলে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামল চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে কাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা ভেঙ্গে ফ্যানসহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়।
একটি সুত্র নিয়ে পুলিশের এসআই জয়ন্ত সরকার বুধবার দিবাগত রাতে কাদিপুর গ্রামের জহুর আলীর ছেলে পিয়ার আলী (২১) ও একই গ্রামের রজব আলীর ছেলে পিয়ার আলী (২২) কে চুরি হওয়া মালামালসহ গ্রেফতার করেন।
মামলা নং-৪)। তবে, তাদের মুল হোতা নওধার গ্রামের ছবর আলীর ছেলে শরীফ আলীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে খুন, ডাকাতি, চুরিসহ একাধিক মামলার আসমান আলী (৩৫) নামের এক কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভল্লবপুর গ্রাম থেকে দুই রাতে মোট ৭টি টিউবওয়েল চুরি হয়। চোরেরা টিউবওয়েল নিয়ে ভোরে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক হয়।
আসামিরা হচ্ছে, হবিগঞ্জ জেলার আজমেরিগঞ্জ থানার শিবপাশা গ্রামের সুহাগ (২৫) ও বিশ্বনাথ থানার ভল্লবপুর গ্রামের মৃত তাহিদুর রহমানের ছেলে কাউসার আহমদ (১৯)। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। (মামালা নং-২)।
এ ব্যাপারে কথা হলে থানার অফিসার ইন-চার্জ ( ওসি) গাজি আতাউর রহমান বলেন, বিশ্বনাথে কোন চোর, ডাকাত ও মাদক কারবারির স্থান হবেনা।
এদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আটককৃত আসমিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।