সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে গোবিন্দনগর গ্রাম।
গ্রামটির পূর্বদিকে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও কবরস্থান বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে নদীপাড়ের সড়কের কিছু অংশও বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। ওই সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। চলাচল করছেন পথচারীরাও। মাকুন্দা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় আতংকে রয়েছেন গোবিন্দনগর গ্রামবাসি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গোবিন্দনগর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাকুন্দা নদীর ভাঙ্গন কবলিত পাড়ের কিছু অংশে বাঁশের বেড়া ও বালুভর্তি সিমেন্টের বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিন্তু সেটা নিতান্ত অপ্রতুল ও দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। নদীপাড় ঘেষা গ্রামের একমাত্র সড়কটির কিছু অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন গ্রাম ও এলাকার লোকজন।
নদীপাড়ের একেবারে কাছাকাছি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে গোবিন্দনগর জামে মসজিদ ও একটি কবরস্থান।
কথা হয় গোবিন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিন আহমদের সাথে। তিনি বলেন, ‘গ্রামটিতে ৭০টির অধিক পরিবারের বসবাস।
আর কয়েক ফুট নদীভাঙ্গন হলেই বিলীন হয়ে যাবে অনেক বাড়িঘর, গ্রামের একমাত্র মসজিদ ও একটি কবরস্থান। আমরা বারবার বাঁশের বেড়া দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করলেও সেটা রোধ করতে পারছি না।
এখানে সরকারি উদ্যোগে মজবুত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতি জরুরী।’
খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ‘ইতোপূর্বে গোবিন্দনগর গ্রামবাসি ও আমার যৌথ সহযোগিতায় ভাঙ্গন ঠেকাতে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছিল, সেটি নদীগর্ভে চলে গেছে।
সর্বশেষ, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ওখানে বাঁশের বেড়া ও কিছু বালুভর্তি সিমেন্টের বস্তা দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভাঙ্গনের হাত থেকে গোবিন্দনগর গ্রামকে রক্ষার জন্যে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিতে দিতে ক্লান্ত। কোনো সাড়া পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরপ্রশাসক সুমন চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের জানান, ‘উপজেলা পরিষদের আগামি সভায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কথা হলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে বাজেটে অর্থ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।