অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে বিরল রোগে আক্রান্ত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দিনমজুর জিলু মিয়ার। মাথা ও মুখের ডান দিকের পুরো অংশ জুড়ে অদ্ভুত রকমের ঝুলন্ত মাংসপিণ্ডে আর সারা শরীরে ছোট বড় অসংখ্য গোটা রয়েছে।
এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্বিষহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পাকিছিরি গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র জিলু মিয়া।
সামান্য ভিটে ছাড়া সহায় সম্বল কিছু না থাকায় অর্থাভাবে করাতে পারছেন না চিকিৎসাও। বৈবাহিক জীবনে চার সন্তানের জনক তিনি। অন্যের কাজ করে রোজগার করা অর্থ ও সরকার থেকে পাওয়া পঙ্গু ভাতা দিয়েই টেনেটুনে সংসার চালাতে হয় তাকে। ফলে, ভাল করে চিকিৎসা নেয়া হয় না তার। বর্তমানে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে, সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
জিলু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘৯ বছর বয়সে মাথার মধ্যে একটি গোটা বের হয়। ধীরে ধীরে মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আরও গোটা বের হতে থাকে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করালেও সুফল পাইনি। এক সময় গোটাগুলো বড় আকার ধারণ করে মাথা ও মুখের ডানদিক ভর্তি হয়ে যায়। ঢেকে ফেলে আমার ডান চোখও। একই রকম ছোট বড় অসংখ্য গোটা পুরো শরীরজুড়েই রয়েছে।
সর্বশেষ যখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই, তখন তিনি বললেন, চিকিৎসার জন্যে ঢাকা যেতে হবে। কিন্তু আমার সেরকম সাধ্য নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রোগ নিয়ে দীর্ঘ এতটা বছর ধরে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছি। যদি সমাজের বিত্তবানরা এই অসহায়ের পাশে এসে দাঁড়ান, তবে হয়তো সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব আমি।’
এ ব্যাপারে কথা হলে খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন বলেন, বিরল রোগে আক্রান্ত জিলু মিয়াকে পঙ্গু ভাতা দেয়া হয়। তার চিকিৎসার জন্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতাই পারে জিলু মিয়াকে সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে।