দুই বিয়াই কমলা মিয়া ও রইছ আলী স্বামী পরিত্যক্তা নারী। বাবা দরিদ্র, তাই তিনি বেচে নেন ঝিয়ের কাজ। বাসায় বাসায় কাজ করেই দুই সন্তানের মুখে আহার যোগাতেন তিনি। একপর্যায়ে কাজ নেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি বাজারের নৈশপ্রহরী কমলা মিয়ার বাসায়।
কমলা মিয়া লামাকাজি ইউনিয়নের মির্জারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তার বাসায় বেশ কিছুদিন কাজ করেন ওই নারী। এর সুবাধে কমলা মিয়া তার সত্তরোর্ধ্ব বিয়াই উপজেলার সত্তিশ গ্রামের রইছ আলীর সঙ্গে তাকে বিয়ে দেয়ার ফন্দি আটেন। নানা প্রলোভন দেখিয়ে বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয় তাকে।
বিয়ের চার দিনের মাথায় রইছ আলী জানতে পারেন, তার নব-বিবাহিতা স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে দুই বিয়াই মিলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত করান তার। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর রইছ আলী ওই নারীকে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এদিকে, নারীর শারীরিক অবস্থা আরও নাজুক হয়ে যায়। পরে গত ২০ আগস্ট শুক্রবার তাকে উদ্ধার করে পুলিশের সহায়তায় ফের হাসপাতালে পাঠান তার বাবা। ওইদিন রাতেই কমলা মিয়া ও তার বিয়াই রইছ আলীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জনসাধারণের প্রশ্ন, ওই নারীর এ অবস্থার জন্য দায়ী কে?
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের সহায়তা ভিকটিমকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত দুই বৃদ্ধ কমলা মিয়া ও রইছ আলীকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের জবানবন্দি নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।