শখের ছাদ বাগানে মিটছে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ঘরের ছাদে গড়ে তুলেছিলেন ফল, ফুল ও সবজি বাগান। শুরুর আট মাস পর থেকে বাগানে উৎপাদন শুরু হয় নিরাপদ ফল-মূল ও সবজি’র। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সৌখিন বাগানি শেখ আফজাল হোসাইন’র ‘শখের ছাদ বাগান’ই এখন হয়ে উঠেছে পরিবারের প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদার উৎস। বসত ঘরের ছাদে বিদেশী কবুতর পালনের পাশাপাশি নান্দনিক বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মদা গ্রামের বৃক্ষপ্রেমী এ যুবক।
সরেজমনি তার ছাদ বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বসত ঘরের ছাদ ব্যবহার করে নিজের মতো করে গড়ে তুলেছেন ছাদ বাগান। বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের মৌসুমি ফল, ফুল ও সবজি। ঝুলছে সূর্য ডিম, কাটিমন ও চিয়াংমাই (চাইনিজ) সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম।
এ ছাড়াও আছে আরবের ফল ত্বিন, ড্রাগন, ভূটান ও পাকিস্থানি কমলা, বারি মালটা, ডালিম, লেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, অস্ট্রেলিয়ান ও পাকিস্থানি ভাগুয়া আনার। ফলের পাশাপাশি আছে সবজি ও সমাবেশ বিভিন্ন প্রকারের ফুলের গাছ।
তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, পড়া-লেখা শেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোযোগী হন। পাশাপাশি বসত ঘরের ছাদের এককোণে প্রথমে গড়ে তুলেন বিদেশী কবুতরের খামার। বর্তমানে তিনি উপজেলার সফল কবুতর খামারি। পরে এক পর্যায়ে গেল বছর শখের বসে করেন ছাদ বাগান। এতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা। কেবল অবসরে সময় দিলে সহজেই এরকম বাগান করা সম্ভব। এ থেকে বারো মাসই ফল ও সবজি পাওয়া যায়। যা থেকে আমার পরিবারের নিত্য দিনের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, আমরা ছাদ বাগানের পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ থেকে ভেজাল ও বিষমুক্ত মুক্ত ফল ও সবজি উৎপাদিত হয়। সৌন্দর্য ও চিত্ত বিনোদনের ব্যাপারও আছে।পাশাপাশি মিটে অক্সিজেনের চাহিদা। আগামী দিনে ছাদ বাগানের মাধ্যমেও পুষ্টি চাহিদা পূরন হবে।