প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাটির মোট আয়তন ২১৪.৫০বর্গ কিলোমিটার। এ উপজেলায় ৮টি ছোট গাড়ির স্ট্যান্ডে প্রায় ১৫শ’ অটোরিকসা সিএনজি, মাইক্রোবাস (নোহা-লাইটেস) কার প্রায় ৮শ’ ও বাসের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১শ’টি।
কিন্তু বিশ্বনাথ সহ পার্শবর্তী উপজেলা জগন্নাথপুর, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও ছাতকেও কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশন নেই।
এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উক্ত অঞ্চলের জনগন। এর মধ্যে যাদের সিএনজি অটোরিকশা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হাইওয়ে রোড অতিক্রম করে প্রতিদিন অন্তত ২বার সিলেটের বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন থেকে তাদের গ্যাসের চাহিদা পূরণ করে থাকেন।
তাছাড়া সিএনজি চালকরা হাইওয়ে রোড ব্যবহার করতে পুলিশকে বাধ্যতামূলক (উৎকোর্চ) মাসুহারা মাইনি দিতে হয়। এতে করে ভোগান্তির শিকার গাড়ির মালিক, চালকসহ যাত্রীরা।
এসব সমস্যার অজুহাতে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া, আর নামিয়ে দিচ্ছে যেখানে সেখানে।
এর ফলে অনেক সময় যাত্রীরা ছিনতাইকারিদের কবলে পড়ে হচ্ছেন সর্বহারা।
রাসেল ও শাহান নামের দুই চালক জানায়, হাইওয়ে রোড দিয়ে গাড়ির গ্যাস আনতে সিলেট যেতে হয়। এতে পুলিশের বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়।
বাধ্য হয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে আসা-যাওয়া করতে হয়। আর যদি ভুল বসত কাগজ বাড়িতে রেখে যায় কেউ, তাহলে পুলিশ গাড়ি (‘রেকার’) করে ফেলে।
আর (‘রেকার’) করলে ৫ হাজার টাকা গুণতে হয়। তাই যানবাহন মালিক ও চালক যাত্রীসাধারণে দুর্ভোগ লাঘবে বিশ্বনাথে সরকারি অথবা বেসরকারিভাবে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের স্থাপনের দাবি।
এদিকে সিলেট ২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিশ্বনাথে গ্যাস চালুর ব্যাপারে ব্যাপক চেষ্টা করে সিলেট থেকে বিশ্বনাথের রশিদপুর পর্যন্ত গ্যাস লাইন স্থাপন করা হয়। কিন্তু দেশে গ্যাসের মজুদ কম থাকায় আর কোন গ্যাস সংযোগের কাজ এগোচ্ছেনা।
বিশ্বনাথ, জগন্নাথপুর, টুকের বাজার শ্রমিক সমিতির সভাপতি ফজর আলী, অটোরিকসা সিএনজি স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও মাইক্রো (নোহা) গাড়ি স্ট্যান্ডের গোলাপ মিয়া জানান, যারা ভাড়ায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা মালিকের টাকা পরিশোধের পর তাদের সংসার চলার মত আয় থাকেনা। এতে অনেক সিএনজি চালকের অভাব অনটনে দিন কাটাতে হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের জোর দাবি, জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে, গ্যাস সংযোগ চালু প্রয়োজন। বিশ্বনাথ ও জগন্নাথপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু হলে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবেনা যাত্রী সাধারণের।