মুক্তধারার নিউইয়র্কে ৫ দিনব্যাপী বইমেলা শেষ হয়েছে। ১ নভেম্বর সোমবার রাতে ৩০তম নিউইয়র্ক বইমেলা শেষ হয়। মেলার মূল উদ্যোক্তা-সংগঠক বিশ্বজিৎ সাহা বাপসনিউজকে জানান, মেলায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই এবং লেখক সাংবাদিক হারুন হাবীব ও মুনতাসির মামুনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইগুলো। হুমায়ূন আজাদের লেখা ‘আওয়ার বিউটিফুল বাংলাদেশ’র বেশ কিছু কপি বিক্রি হয়েছে।
ঢাকা থেকে আগত প্রকাশকদের স্টলের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বিশ্বজিৎ সাহা বললেন, প্রায় সবগুলোই ফাঁকা হয়ে গেছে। তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বই বিক্রি হয়েছে এবারের মেলায়। মেলা থেকে ফেরার সময় প্রায় প্রত্যেকের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ।
এদিকে, বইমেলায় শ্রেষ্ঠ স্টলের জন্যে ‘মুক্তধারা-কথা প্রকাশ পুরস্কার’পেয়েছে ‘অনন্যা’এবং মেলা কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন্নবীর কাছে থেকে সেটি গ্রহণ করেন মনিরুল হক। এ সময় মেলা কমিটির সর্বস্তরের কর্মকর্তারা সেখানে ছিলেন। পুরস্কারের মূল্যমান হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।
সমাপনীতে সামনের বছরের ৩১তম বইমেলার আহ্বায়কের নামও ঘোষণা করা হয়। তিনি হচ্ছেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য গোলাম ফারুক ভূইয়া। তিনি জানান, সামনের বছরের মেলার স্থায়িত্ব ৫ দিন হবে কিনা সেটি নির্ভর করছে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের নীতি-নির্ধারকদের ওপর। ইচ্ছা করলেও আমরা ৫ দিনের বেশি করতে পারবো না। কারণ, কমিউনিটির সকলের সুবিধাজনক স্থানে টানা ৫ দিনের জন্যে কোনো মিলনায়তন পাওয়া যাবে-এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। শীঘ্রই আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসবো।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফেরদৌস সাজেদীন এবং ৩০তম বইমেলার আহ্বায়ক ড. নুরুন্নবী এক যুক্ত বিবৃতিতে করোনার ভীতি সত্বেও টানা ৫ দিনের বইমেলাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্যে প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে শুরু হলেও দ্বিতীয় দিন থেকে সমাপনী পর্যন্ত মেলা বসে জ্যাকসন হাইটসে জুইশ সেন্টারে।
বইমেলায় লোকসমাগম খুবই কমেছিল ।