গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির মালিকানাসহ গৃহ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ জুন রবিবার জামালপুরের মেলান্দহের ১৮০টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পরিবার দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার পেল।
এর আগে ১ম ধাপে ২৮০টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর পেয়েছিল।
মেলান্দহ উপজেলা প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তার প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের হাত থেকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন এসব পরিবার।
উপর হিসেবে ঘর পেয়েছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাহমুদপুর ৭৫টি,দুরমুঠ ৪টি, শ্যামপুর ২৪টি, কুলিয়া ১৮ টি নয়ানগর ১২ টি ফুলকোচা ১৭টি আদ্রা ২৮টি ঘোষের পাড়ায় ২টি সহ মোট ১৮০ টি পরিবার।
এসব উপস্থিত ছিলেন- মেলান্দহ উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, সহকারি কমিশনার ( ভূমি) সিরাজুল ইসলাম,উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক মো: জিন্নাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান বলেন-ঘর পাওয়া মানুষদের মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ধারাবাহিকতায় এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
ইউএনও শফিকুল ইসলাম বলেন- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়া। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও ভূমি উপহার হিসেবে পাচ্ছেন।এই উপহার নিয়মিত দেখভাল করবেন ।
উপহার পেয়ে আদ্রা ইউনিয়নের থুরী আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী রাজমিস্ত্রি
হাফিজুর রহমান – আমার ঘর,জমি কিছুই ছিলোই না।ঘর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ছেলে মেয়ে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। রাজমিস্ত্রী কাজ করে। উপহার পাওয়া ঘরে যেতে রাস্তা দরকার।মানুষের জায়গা দিয়ে যেতে না হয়।
উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ২নং চরের সুফিয়া বেগম বলেন- ‘ঘর পেয়ে খুশি খুশি লাগছে।আগে ঘর ছিল না।এখন পেয়েছি।
দেশ যুগান্তর/আরজে