জামালপুরের মেলান্দহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘরে এলাকাবাসীর কৃষিপন্যের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ঘটনাটি ঘটেছে – জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৬৪ নং ঘোষের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এলাকাবাসীরা জানায় কিছু ক্ষমতাসিন লোক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা কে মেনেজ করে এক ঘরে সরিষা কিনে রেখে দিয়েছে। অনেকদিন হয়ে গেল এই সরিষা স্কুলঘর হতে না সরিয়ে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইদানিং আরেক ঘরে পাট কিনে ঘর ভর্তি রাখা হয়েছে। ধান ও মরিচে সময় মাঠ ভর্তি এই পন্যগুলো রাখা হয়।
প্রধান শিক্ষিকা জাহানারা জেনে শোনেই স্বজনপিতি কারণে হোক বা ভাড়ার মাধ্যমে হোক এই সরকারি স্কুলঘরে গোডাউন হিসেবে ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছেন।যার কারণে অনেকদিন যাবৎ কয়টা রুম গোডাউন হিসেবে স্থানীয়রা ব্যবহার করে আসছে। নিয়মিত ভিজিট ও উক্ত খবরের প্রেক্ষিতে আকস্মিক ভাবে ৩১ আগস্ট দুপুরে মেলান্দহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা কামাল ও সহকারী শিক্ষা অফিসার গোলাম কিবরিয়া উক্ত ঘোষেরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে গোডাউন দেখতে পেয়ে ও অনিয়মের কারণে শোকজ করেন এবং আগামি তিনদিনের মধ্য লিখিত ভাবে সন্তুোশজনক জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়।
অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকা জাহানারা কে স্কুলঘর কিভাবে গোডাউন হিসেবে দিলেন এর জবাবে তিনি বলেন -এবিষয়ে আমি পরে কথা বলবো। সাংবাদি আরো প্রশ্ন করেন- আপনার বাড়ী এই এলকা হওয়া সত্বেও কেনো জামালপুর থেকে আসেন এবং প্রতিদিন গাড়ী, ও অন্যান্য অযুহাতে অনেক দেরিতে ১১/১১.৩০ টায় আসেন- তার জবাবে শিক্ষিকা বলেন- দুরে রাস্তা একটু দেরি হবেই কোন সমস্যা নেই, এটিও স্যার সব জানে। এলকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের দাবী সরকারী স্কুল কে গোডাউন হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি প্রধান স্কুলের নানা অনিয়মে ব্যপারে উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষ দৃষ্টি কামনা করে।