সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্চিত ও তার মা বাবাসহ অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ৯ নং ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের সগুনা গ্রামে।
চর সগুনা গ্রামের আলহাজ আ: মালেকের পুত্র চাড়ালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: জগলুল পাশা কে ২৮/০৮/২১ শনিবার পৈত্তিক জমিতে অন্যজনে হাল চাষ দেয়ার প্রতিবাধ করতে গিয়ে মারধর ও ফিল্মস্টাইলে হাত পা বেধে লাঞ্চিত করে তার বাবা, মা কে টাকা পয়সা,জিনিসপত্রসহ একই এলাকার জশমত,আনার, ইব্রাহিম গংরা জোর করে তাদের নিজবাড়ীতে আটকে রেখে বাবা আলহাজ মালেক কে প্রলোভন দিয়ে নিজ পুত্র জগলুল পাশার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
শুধু তায় নয় জগলুল পাশা মাষ্টার কে বাড়ী হতে বের হতে না দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। প্রত্যক্ষদর্শি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডজন খানেক লোক জানান- শনিবার জগলুল পাশা মাস্টারকে মার ধর করে যে ভাবে হাত – পা রশি দিয়ে বেধে এনে লাঞ্চিত করা হয় তা কোন মানুষের কাজ হতে পারেনা। জগলুল পাশার চাচা আমেজ উদ্দীন জানান- আমার ভাতিজা একজন শিক্ষক। এলাকায় মান সম্মান নিয়ে বাসকরতে চায়। জগলুল পাশার বাবা একাদিক বিবাহ করে সমাজে বিভিন্ন অসামাজিক কর্ম ও অর্থ লেনদেন করে আসে বিধায় বিভিন্ন অভিযোগ তার বাবার নামে নালিশ আসে সেই জন্য জগলুল পাশা তার বাবা মালেক কে নামাজ,বন্দেগী করে অন্যের টা না খেয়ে নিজে ভালো হয়ে চলার জন্য অনুরোধ করে। পিতা পুত্রে বাক দন্ডে তৃতীয় পক্ষ হয়ে সৎমা, জশমত,রিপন,আনার মন্ডল,ইব্রাহীম গংরা ইন্দন দিয়ে ভুলবাল বুঝিয়ে পিতা পুত্রের মাঝে কলহ সৃষ্টি করে আসছে।
এলাকার মাতাব্বর জশমত জানান- পিতা – পুত্রের মধ্য মাঝে মাঝে কলহ বেধে থাকে,আমরা কয়েকটি সালিশ করেছি এবং চেয়ারম্যান সাহেবও সালিশ করছে। এখন আমরা তার পিতা মাতা কে আমাদের বাড়ীতে আশ্রয় দিয়েছি।আর জগলুল পাশাকে আমাদের লোকজন ধরে এনে ঐ পারে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতালেবের কাছে নিয়ে গিয়েছিল পরে ছেড়ে দেয়া হয়ছে।
অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতালেন বলেন- আমাদের বংশের কিছু লোক মালেকের জমি বর্গা চাষ করে আসছে।এখন মালেকের ছেলে উক্ত জমি চাষ করতে দিবেনা তাই হয়তো একটু হাতা হাতি হতে পারে।জগলুল মাষ্টারকে আমার কাছে ধরে এনেছিল।
জগলুল পাশার পিতা মালেক(৬৫) বলেন- আমি কয়েকটি বিবাহ করেছি। এখন দুইটা স্ত্রী আছে এবং দুই স্ত্রীর ৩ টি ছেলে আছে।আমি জগলুল পাশার মার নামে ব্যাংকে অর্ধ কোটি টাকা রেখেছি। আমাদের টাকা পয়সা, জমি জমা বিভিন্ন মহলের লোকের আত্মসাৎ করার জন্য পায়তারা চলছে।আমি এখন জশমত ইব্রাহীমদের বাড়ীতে অবরুদ্ধ আছি আজ আমি অনেকের বুদ্ধি ও জশমতদের পরার্মশে কথায় আমাব পুত্রে বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।