অপরাধের সাথে কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই অথচ ভুল আসামি হয়ে প্রায় ৯মাস কারবাস করার পর ৭বছর মামলার গ্লানি টেনে অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১১নং ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়নের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া। মামলা থেকে নির্দোষ প্রমান হলেও ভেঙ্গে যায় তার সাজানো সোনার সংসার। চুরির মামলায় জেল হাজতে গেলে দুই সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী সরমিনা আক্তার ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। বার বার স্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেও পারেনি সেলিম। অবশেষে নিয়তিকেই মেনে নিতে হয়।
সেলিম মিয়া মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় শশুড়বাড়িতে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান হিসেবে বই বিক্রি করতেন। এতে তার সাজানো সংসার সুন্দরভাবেই চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ একটি ঝড় এসে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। ২০১৪ সালে বই বিক্রি করতে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে বসা সেলিম। হঠাৎ কমলগঞ্জ থেকে আসা এসআই লিটন চন্দ্র পাল তাকে গ্রেফতার করে। ঐ সময় ২০ হাজার টাকা দাবী করে সেলিমের কাছে। কিন্তু সেলিম এত টাকা দিতে না পারায় সেলিমকে ধরে নিয়ে যায় কমলগঞ্জ থানার এসআই লিটন চন্দ্র পাল। ঐসময় কমলগঞ্জের রাজন দেবের দায়ের করা অজ্ঞাত ব্যাক্তির উপর দোকান চুরির মামলায় আসামী করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। ৯মাস জেল কেটে জামিনে বের হয়ে আসার পর তিনি হারান তার স্ত্রী সরমিনা আক্তার, দুই শিশু সন্তান আরিফ (৭) ও জান্নাতুল (৪) কে। এমামলায় ৭বছর পর গত ৩১ জানুয়ারী মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আলী আহসান সেলিমকে নির্দোষ হিসেবে খালাস প্রদান করেন। কিন্তু নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করলেও ফিরে পাননি তার স্ত্রী সন্তানেকে।
সেলিম জানান, আমাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাসানো হয়েছিলো। ৭ বছর পর আমি নির্দোষ হলেও আমার স্ত্রী সন্তানকে ফিরে পাইনি। সেসময় আমার স্ত্রী আমাকে চোর ভেবে আমার সন্তানদের নিয়ে চলে যায়। আমি আজ নিঃস্ব। আমি এর বিচার চাই।