আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের আঙ্গাপাড়া মৌজার সাবেক ৭০৫ ও ২৪৫ দাগে ভবন নির্মানের কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাহার রিভিশান জরুপি ১০৮৪নং খতিয়ানের ১০৮৫ নং দাগে ১২ শতাংশ ভূমি সাবেক নাল বসত বাড়ী ঘর ও ভিটা ভূমি। যাহার চৌহদ্দি উত্তরে ও পূর্বে বালিকা বিদ্যালয় রোড। ৬৫ নং আঙ্গারপাড়া মৌজার ১৭০নং খতিয়ানের ৭০৫ দাগের ৪৬ শতাংশ অন্দরে ৪১ শতাংশ ভূমি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মহসিন হোসেন জুয়েল জানান, আমাদের ক্রয়কৃত দখলীয় জমি ভূলক্রমে রেকর্ড হওয়ায় সরকারকার পক্ষে জেলা প্রশাসককে বিবাদী করে ১৭/৯৭ নং দেওয়ানী মামলা করলে আদালত আমাদের পক্ষে দোতরা পক্ষে রায় ও ডিগ্রি প্রধান করেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালীন প্রশাসন আপিল করলে আদালত পূর্ণ বিচারের জন্য ২০১১ সালের মার্চ মাসের ৩ তারিখে রায় দেয়। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা একই সালে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট রায় স্থগিত রাখে।
তারা ফের দখলের চেষ্টা করলে আমরা হাইকোর্টে আবেদন জানালে গত ১৭ ডিসেম্বর’২০ তারিখে হাইকোর্ট পজিশন ও পজেশন বিষয়ে স্থীতি অবস্থা Status-quo আদেশ দেন।
চলতি ৫ ডিসেম্বর’২১ তারিখে হাইকোর্ট শুনানি শেষে CR ২২০৩/১১ নিস্পত্তি করে পূনরায় বিচারের জন্য লক্ষ্মীপুর কোর্টে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ৫ ডিসেম্বর’২১ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল বিভাগে CMP NO ৭৫৩/২০২১ দায়ের করলে ১৪ ডিসেম্বর’২১ চেম্বার কোর্টের লিষ্টে ২০৭ নং সিরিয়ালে আসে। আমাদের পক্ষে বিজ্ঞ আইনজীবী Injunction দরখাস্ত দ্রুত শুনানী করতে আদালতে মেনশন করলে সরকার পক্ষকে ডেপুটি এটর্নী জেনারেল আদালতকে অবহিত করেন তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার ডিসির সাথে কথা বলে নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঠিকাদার মোঃ হোসেন রামগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের ও তার লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর’২১ ও ১৫ ডিসেম্বর’২১ ভবন নির্মানের কাজ চালায়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে নিরুপায় হয়ে আমরা ফের আদালতে আবেদন জানালে আদালত স্থিতি বজায় রাখতে আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য ঠিকাদার মোঃ হোসেনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও কি করে ইমারত নির্মান হচ্ছে এমন বিষয় জানার জন্য রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে (৯ফেব্রয়ারী) মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপ্তি চাকমা মুঠোফোনে বলেন, ভবন নির্মানের কাজ হচ্ছে বলে এমন কিছু আমার জানা নেই। কেউ কোন অভিযোগও করেনি।