রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার(৩০মে) রাত ৮ টায় ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের শাহ মিরান দরগা শরিফ সংগল্ন চৈইয়াল বাড়ির সামনে। এ ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাছেল মাহমুদ রাজু ও সাধারন সম্পাদক নাহিদ হোসেনকে দায়ী করে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অপরদিকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ঘটনা অস্বীকার করে আজ মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় রামগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তাফা ভূইয়া রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় জানান, তিনি সন্ধ্যা ৮ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে রামগঞ্জ থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় শাহ মিরান দরগা শরিফের পাশে চৈইয়াল বাড়ির সামনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাছেল মাহমুদ রাজু, সাধারন সম্পাদক নাহিম হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা মোর্শেদ আলমসহ সাত আট জন তাঁর মোটর সাইকেল গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও স্বাসরোদ করে হত্যা চেষ্টা করে। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। পরে লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরো বলেন, আমি সম্মেলনে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি প্রার্থী তাই
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী বিদায় বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির মোল্লার ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান।
অপরদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাকির মোল্লার সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাছেল মাহমুদ রাজু, সাধারন সম্পাদক নাহিম হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফা ভূইয়া একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমরা তাঁকে সম্মান করি। ঘটনা সময় তারা সেখানে ছিল না, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তারা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা প্রতিবাদ ও নিদ্ধা জানান এবং সুষ্ঠ তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন ।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমদাদুল হক জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা ভূইয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।