বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারে পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৯ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে এই সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুর শাখা।
শুক্রবার (১৬ই আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে শহীদ ওসমান চত্বরের সামনে থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে আর্ট স্কুলের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশ শেষে শহীদ ওসমান চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল রায়পুর কামিল মাদ্রাসা মোড় হয়ে আবারও শহীদ ওসমান চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওঃ মহি উদ্দিন বলেন- অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যে দাবিকে সামনে রেখে মানুষ রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে, সেই দাবি বাস্তবায়ন হোক। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হোক। এই দেশ ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি লাভ করুক। যারা অন্যায় এবং জুলুম করেছে, তাদের বিচার হোক। যারা নির্দোষ তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ স্বৈরশাসন অবসানের পর একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী দখলদারিত্ব, লুটতরাজে মেতে উঠেছে। দুর্নীতি ও জালিম সরকারের পথ ধরে এভাবে লুটপাটে মেতে উঠলে আমরা তাদেরকে ছেড়ে দেবো না। এখন সবাই মিলে রাষ্ট্র সংস্কার এবং একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিগত ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসন দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, নির্বাচনকে করেছে নির্বাসিত। ব্যাপক লুটপাটের মাধ্যমে অর্থনীতিকে করেছে বিপর্যস্ত। বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং রাষ্ট্রের সকল অসংগতি দূর করে দুর্নীতি দুঃশাসনমুক্ত উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন এখন সময়ের দাবি। ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে দলের উপজেলা সভাপতি মাওঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের যারা গণ হত্যায় নির্দেশ দিয়ে খুনের তৎপরতায় লিপ্ত ছিলো তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিরা গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে রাস্তায় নামতে পারে না।’ গণহত্যায় নিহতদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তা প্রদানের দাবি জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ ইমরান হোসাইন, রায়পুর উপজেলা সভাপতি এম এম আনোয়ার হোসেন, সেক্রটারী মাওঃ হেলাল উদ্দিন, সহকারী সেক্রেটারী এ. এম কাওসার মাহমুদ, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাহদী হাসান আরিফ সহ দলের অনেক নেতৃবৃন্দ।
দেশ যুগান্তর/হারুন
