নুরুল আমিন ভূঁইয়া দুলাল : লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনার ৪ দিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন। জানা যায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব মারা যান।
এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যদির পুকুর পাড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সজিবসহ ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
জানা যায় সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন। সজীব তার অনুসারী ছিলেন।
এ ঘটনার পর মাসুদ তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। মাসুদ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সজীবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। পরদিন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
থানা এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
এ সময় সজীবকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানো হয়। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
ঘটনার পর পরেই পুলিশ চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।