লক্ষ্মীপুরে সৎ মা আরুফা খাতুন ও তার চার সন্তানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আনোয়ার উল্লাহ জমি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে দখলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের দালাল বাজার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড হাজী সানা উল্যার পুরাতন বাড়ির জমিতে।
জবর দখলবাজদের পূর্বের বাড়ি ছিল বড় বাড়ির পাশে কুলসুমার বাপের বাড়ি। তারা এ সম্পক্তি ২০২২ সালের ২৮ ই জানুয়ারী শুক্রবার ১৫- থেকে ২০ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী এনে এজবর দখল করে বলে অভিযোগ ওঠেছে সৎ ভাই মোঃ ইউসুফ (৫৮), বেলাল( ৪৬) হোসেন (৫৪)মোঃ আলী (৫১) পিতা মৃত মজিবুল হকের ২য় স্ত্রীর সন্তান তারা।
অত্রএলাকার চররুহিতা ইউপির ৩ নং ওয়ার্ড সাবেক মেম্বার মুরাদ, দালাল বাজার ইউপি ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু, স্থানীয় ব্যবসায়ী ইউসুফ পাটওয়ারী জানিয়েছেন, দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের চরলামছি এলাকার ঢাকায় বসবাসকারী আনোয়ার উল্লাহ তার বড় ভাই হাজী সানা উল্লাহ কাছ থেকে ২০০৫ সালে ২৫ হাজার টাকায় ৩ শতাংশ জমি খরিদ সূত্রে মালিক তিনি।
যাহার ৬৪ নং লক্ষ্মীপুর মৌজার সিএস ১৩৯২, আর,এস,খতিয়ান ১৭১২, সাবেক ২০০৬ বতমান ১০৫২৬ দাগে তিন শতক জমির মালিক মৃত ছানা উল্যা গংরা।
ঐ জমিতে থাকা একটি পুরাতন পরিত্যক্ত বাড়ি দখলে ছিল সানা উল্লাহ। জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্রয়কৃত জমি ভোগ দখল করে আসছে আনোয়ার উল্যাহ গংরা। এর আগে মৃত সানা উল্লাহ গংরা দীর্ঘ ৩৫ বছর দখল ছিল।
ভুলক্রমে বতর্মান আরএস সাফা খতিয়ানে ৪.৭৫ শতাংশ জমি সৎ মা আরুফা খাতুনের নাম উঠে আসে। এ খতিয়ানের সূত্র ধরে তারা আমার ভোগদখলকৃত জমি জোর পূর্বক জবর দখল করে নেয়। এর আগে বিগত ৫০-থেকে ৬০ বছরের আগে তারা ওয়ারিশি জমির মালিকানা কখনো দাবি করেনি। হঠাৎ কোন কারণ ব্যতিত জোর পূর্বক ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারিতে আমার ক্রয়কৃত বসত বিটা ৩ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখল করে।প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ছাড়া ভুয়া কথায় জমির মালিকানা দাবি করতে শুরু করে।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই জমির মালিকানা নিয়ে গত ১৮ মার্চ ২০২২ ইং লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির কার্য্যলয়ে বৈঠক হয়। দুই পক্ষেই দলিলপত্র দেখে আনোয়ার উল্যাহ গংদের পক্ষে রায় এবং মতামত দেন সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডঃ সাহাদাত হোসেন।
অপর দিকে আরুফা খাতুন গংরা জমির মালিক হওয়া স্বত্ব প্রয়োজনী দলিলপত্র দেখাতে পারেনি। তারপরও জবরদখলবাজ আরুফা বেগম গংরা অবৈধভাবে দখল বজায় রাখেন। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠক ডাকা হলেও আরুফা গংরা স্থানীয় বৈঠকে বসতে নারাজ।
বৃহস্পতিবার জমির প্রকৃত মালিক আনোয়ার উল্লাহ জানিয়েছেন, গত ১৫ ই মার্চ ২০২২ ইং লক্ষ্মীপুরের লোকাল দৈনিক সবুজ জমিন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে, সমাজের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। যাহা আদোও সত্য নয়। এ সংবাদে তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, দখলবাজ আরুফা খাতুন ও তার সন্তানদের সকল পরিকল্পনা বিফল হওয়ায় এবং সালিশের সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে যাওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে আনোয়ার উল্লাহ ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অবৈধদখলবাজ আরুফা খাতুনদের উচ্ছেদ করতে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন জমির মালিক আনোয়ার উল্লাহ।
এদিকে অভিযুক্ত বেলাল, হোসেন,ইউসুফ, আলী গংরা দাবি করেন বতমান আরএস সাফা খতিয়ানে ৪.৭৫ শতক জমি তাদের মা আরুফা খাতুনের নাম রয়েছে ঐ সূত্রে জমির মালিক দাবি করেন তারা।
দেশ যুগান্তত/আরজে