লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে নামাজ আদায় করা হয়েছে। এ সময় তপ্তরোদে ঘণ্টাব্যাপী মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিরা আহাজারি করেছেন। সবার কণ্ঠে ভেসে আসে রহমতের বৃষ্টি জন্য আবেদন৷
শনিবার (২২ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের মুনছুর আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন স্থানীয় চরমটুয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের৷
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ ও দোয়া করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের গ্রামগুলোতে খালের পানি শুকিয়ে জমি ফেটে গেছে। গাছপালার পাতা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েকটি ফিশারির পুকুরের পানি শুকিয়ে মাছ মরে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোটর দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি উঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে অনেককেই। এমন অবস্থায় বৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। এতে কুশাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ফরাশগঞ্জ গ্রামের মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করেন।
শনিবার শিশু-কিশোরসহ দুই শতাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবাই আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির আবেদন করেছেন৷ কয়েকজন মুসল্লি জানান, খালে পানি নেই। জমি আবাদের জন্য পানি খুবই প্রয়োজন। বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-পুকুর-মাঠঘাট শুকিয়ে রয়েছে।
খালের জমিতে ফাটল ধরেছে। যেন খরা মৌসুম চলছে। আল্লাহ সব কিছুর মালিক, তিনি একমাত্র ভরসা। এ জন্য আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টির জন্য কেঁদেছি।
কুশাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. করিম বলেন, এ এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষির সঙ্গে জড়িত। বৃষ্টি না হলে জমি আবাদ করা যাবে না। আল্লাহর রহমতের আশায় সবাই যার যার অবস্থান থেকে দোয়া করছেন।