হাইকোটের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন পাঠান এবং আব্দুল লতিফ গংদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিবারের বসত বাড়ি ঘর জমি অবৈধভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় দখল করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড সমসেরাবাদ গ্রামের আলী মুদ্দিন বেপারী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন পিতা- মমিন উল্ল্যাহ জানিয়েছেন ৭৫নং সমসেরাবাদ মৌজার ১১০৫, ১১০৭ দাগে ১২ ডিং জমি ওয়ারিশ ও ক্রয় সূত্রে মালিক মমিন উল্যাহ গং। তিনি ১৯৭৭ইং সালের ৫পাঁচ জানুয়ারি সাবকবলা দলিল মূলে জালাল আহম্মেদ থেকে ৬.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন, যাহার বায়া দলিল ৩১ আগষ্ট ১৯৪২ ইং সনের দলিল নং ৩৫০৫। যাহার সিএস ১১, এসএ ১৫, ডিপি ১৬৭৯ বতমান ডিপি ৫১৭৬। তিনি এলাহি বক্স তার মেয়ে সুজিয়া খাতুন, জামাতা জালাল আহম্মেদ থেকে ৬. ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মমিন উল্ল্যাহ।
এই জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে মাঈন উদ্দিন পাঠান গং এবং আব্দুল লতিফ গংদের সাথে। এই সম্পক্তি নিয়ে হাইকোর্ট রিভিশন মামলা করেন মফিজ উল্ল্যা গং যাহার সিভিল রিভিশন নং ৪৫/২০২২ইং। ৬ছয় মাসের জন্য বিরোধকৃত সম্পক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট বিচার বিভাগ। মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাঈন উদ্দিন পাঠান , আব্দুল লতিব গং প্রায় দেড় থেকে ২ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অবৈধভাবে ভোগদখলকৃত সম্পক্তি পুলিশের উপস্থিতিতে এই দখল করেন। বাড়ি ঘর ভাংচুর করে লুটে নেয় পাঠানগংরা।এই সময় জমির মালিক মমিন উল্ল্যাহ বলেন, এই সম্পক্তি মাঈন উদ্দিন পাঠানের ৫পাঁচ মাস আগে আমার কিনা।
উনি যে একতের নেছা থেকে জমি কিনেছেন তার মালিকানার কোন সত্ত নেই। এর আগে গত ১৩ ই মার্চ ২০২২ইং তারিখে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব বরাবর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত করেন জমির মালিক মমিন উল্ল্যাহ গং। মাঈন উদ্দিন পাঠানকে ভূমিদস্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি জমি দখলের সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম সালাহউদ্দিন টিপু, পুলিশের উপস্থিতিতে ও স্থানীয় মাতব্বর জবরদখলবাজ আলমগীর হোসেন রতন, বিদ্যুত বাশার টিটু, মাটিয়া সফিকসহ জড়িত বলে দাবি করা হয়। এই সময় অবৈধভাবে জমি দখলবাজেরা জমি দখল করতে এসে কয়েকজন নারীর উপর হামলা করে এবং একটি টিনের ঘর ভাংচুর করে নিয়ে যায় পরে গাছপালা কেটে নির্মাণাধীন কাজ শুরু করে। একাধিকবার যোগাযোগ করেও পুলিশের কোন সহযোগিতার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার।
২০১৬ইং সালে অভিযুক্তরা একইকায়দায় ১১০৬ দাগের প্রায় ২দুই শতক সম্পত্তি জবরদখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মান করে একই ব্যক্তিরা নিরাপত্তা হীনতা ভুক্তেছে সাংবাদিক পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার ভূমিদস্যু মাঈন উদ্দিন পাঠান, এবং আব্দুল লতিফ গংরা ও তার গংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। জরুরী সেবা ৯৯৯ সেবায় চারবার ফোন করেও পুলিশের কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশ ঘটনার স্থানে গিয়ে দখলবাজদের পক্ষে নিয়ে নির্মান কাজ করেছে। অভিযোগকারীদের কোন সহযোগিতা করেনি।
এই বিষয়ে মাঈন উদ্দিন পাঠান সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বসত বাড়িতে নির্মাণাধীন কাজ করতেছি আমার বসতবাড়ির জমিনের সকল কাগজপত্র আছে
পুলিশ সুপার ডঃএইচ কামরুজ্জামান জানান, সংবাদটি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে উভয় পক্ষে আহত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা (ওসি) জসিম উদ্দিন ২দুই পক্ষের নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ না করে । বোরন আজ শুক্রবারও দখল নির্মানাধীন কাজ চলমান রেখেছে মাঈন উদ্দিন পাঠান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ হারুনুর রশিদ
বার্তা সম্পাদক : জাকির হোসেন শাকিল
আইন উপদেষ্টা : এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন
"এইচ বাংলা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত -দেশ যুগান্তর"
অফিস : পুরানা পল্টন, ঢাকা- ১০০০।
ই-মেইল : news.deshjugantor@gmail.com
যোগাযোগ : 01763592492
Copyright © 2024 দেশ যুগান্তর. All rights reserved.