বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে অতিবর্ষণ ও পূর্ণিমার জোঁতে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় অঞ্চল বরগুনার আমতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমতলী পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর ফেরির গ্যাংওয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যানবাহন পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছ ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলা শহর বরগুনায় যাতায়াতকারী লোকজন। এদিকে পানিতে তলিয়ে গেছে আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক। আউশের ধান ও আমনের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় পচনধরার সম্ভাবনা রয়েছে।বিভিন্ন স্হানে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। অতিবর্ষনে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। এতে দুর্ভোগে পরেছে উপজেলার কমপক্ষে দেড় লক্ষাধীক মানুষ।
বিভিন্ন স্হান ঘুরে জানা যায়,সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবর্ষণ ও পূর্ণিমার জোঁতে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫৯ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় এলাকা আমতলীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরের বসবাসরত মানুষের ঘরবাড়ী তলিয়ে গেছে। তারা অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। অতি বর্ষণ ও বিভিন্ন স্হানে জমে থাকা পানির কারনে আমতলীী জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে।বিভিন্ন স্হানে দেখা যায় পানিতে মাঠ-ঘাট থই থই করছে। তলিয়ে গেছে আউশের ধান ক্ষেত ও আমনের বীজখেত। চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।স্লুইস গেটের জলকপাটগুলো দিয়ে তেমন পয়নিস্কাশন না হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন স্হানে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত পয়নিস্কাশন না হলে আউশ ধান ও আমনের বীজখেত পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে,বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ৩৬ হাজার ৩০০ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে থাকায় চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।