লাখাইয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় রাঙ্গামাটি থেকে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরেে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মাহফুজা আক্তার শিমুল , হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাসুক আলী, লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইদুল ইসলাম হবিগঞ্জ জেলা শাখা ডিবি ওসি আল আমিন , অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘রাঙ্গামাটি থেকে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেলা দুইটার দিকে এই ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় এই পর্যন্ত ৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি এখনও পলাতক।
ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মিঠু মিয়া আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৫ আগস্ট দুপুরে নব দম্পতি তাদের এক বন্ধুকে নিয়ে টিক্কাপুড়া হাওরে নৌকাভ্রমণে যায়। সেখানে আরেকটি নৌকা নিয়ে আট যুবক তাদের নৌকায় হানা দেয়। দুই বন্ধুকে মারধর করে নববধূকে তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে আট যুবক। নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ৯ লাখ টাকা দাবি করে তারা। টাকা না পাওয়ায় ভিডিওটি এলাকার কয়েকজনের কাছে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার নববধূর স্বামী আটজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা রেকর্ড করতে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়।
মামলার আসামিরা হলেন, মোড়াকড়ি গ্রামের মুছা মিয়া, মিঠু মিয়া, হৃদয় মিয়া, সুজাত মিয়া, জুয়েল মিয়া, সোলায়মান রনি, মুছা মিয়া ও শুভ মিয়া।
ওইদিনই মিঠু মিয়া, সোলায়মান রনি ও শুভ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।