রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি

শিক্ষক-মেম্বার ও কাজির কারসাজিতে বাল্য বিয়ে

সামিউল ইসলাম, জামালপুর প্রতিনিধি :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৭৩ বার দেখা হয়েছে

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের শিক্ষক- মেম্বার, স্বাস্থ্য কর্মী ও কাজির যোগসাজেশে বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নে আলাইরপাড় গ্রামে। আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডে মেম্বার মো: শাহজাহানের একমাত্র মেয়ে বাঘাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী খুশি মনি (১৫) কে ঐ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে আলমে সাথে ০৫/৮/২১ তারিখে ভুয়া নিবন্ধন দেখিয়ে এবং শাহজাহানে দ্বিতীয় মেয়ে পরিচয়ে করোনার মধ্যে সরকারী আইন অমান্য করে ঐ ছাত্রীর বাড়ীতে বসবাস রত শিক্ষক যিনি নিজেই সাব কাজির দায়িত্ব পালন করেন। সেই সাব কাজি বাঘাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মঈন উদ্দিন ( ময়না) মাষ্টার নিজ নাবালিকা ছাত্রীকে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জোর পুর্বক বিবাহ আবদ্ধ করান।

বিবাহ রেজিস্ট্রি করা কাজি মঈন উদ্দিন তার নাতনী ও নাবালিকা ছাত্রীখুশি মনি ওরফে সেলিমা আক্তার কে তথ্য গোপন করে বাল্যবিবাহ করালেন তার জবাবে তিনি জানান – আমি জন্ম নিবন্ধন দেখে বিবাহ পড়িয়ছি। হ্যা আমি জানি শাহজাহান মেম্বারের একটি মেয়ে খুশি মনি দশম শ্রেনির ছাত্রী। এখন কই থেকে শাহজাহানের সেলিমা নামে আরেকটি মেয়ের ১৮ বছরের নিবন্ধন এনে আসল মেয়ে খুশি মনিকে বিয়ে দিলো আমি তা বলতে পারবো না।

আদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আশরাফ আলী ও উদ্দ্যেক্তা রাসেল জানান – শাহজাহান মেম্বার আমাদের পরিষদের সদস্য হওয়ায় তার কথা মানতেই হয়। আমার কাছে একটা টিকার কার্ড এনে দিয়ে জোর করে নিবন্ধন বের করে দিতে বলে। আমি বাধ্য হয়ে মুর্খ/ অশিক্ষিত দেখিয়ে নিবন্ধন করে দিয়েছি।

টিকার কার্ড সরবরাহ কারী স্বাস্থ্য সহকারী / টিকাদান কর্মী জুলেখা কে কেন দশম শ্রেনির ছাত্রী খুশিমনিকে সেলিমা আক্তার সাজিয়ে ১৮ বছরের সাবালিকা বানালেন এই প্রশ্নের উত্তরে জুলেখা সাংবাদিকদের জানান- আমার কাছে যা বলেছে আমি তাই লেখেছি।আমার রেজিস্টারে সব আছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন- ময়না মাস্টার ৫ তারিখে বিয়ের কাবিন বিয়ে পরিয়ে ১১ তারিখে বেক ডেট দিয়ে নিজেই নিবন্ধন করিয়ে নিয়ে সাধু সাজতে চেষ্টা করছে।

এভাবে কাজি ও স্বাস্থ্য কর্মী অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য টিকার কার্ড দিয়ে বাল্যবিবাহ ও বয়স কমবেশি করণে অনিয়মে আশ্রয় নিয়ে তথ্যসেবা কেন্দ্রে কাজে গতিবিধি ও সরকারের সু নাম প্রতিনিয়ত নষ্ট করছে। এ যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার মতো। যারা আজ সমাজে নিজেদের কে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য/ লিডার বলে বক্তব্য রাখছে সেই সমস্ত শিক্ষক, মেম্বার, নেতা,স্বাস্থ্য কর্মীরাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই বাল্য বিবাহ সংগঠিত করাচ্ছে।

এদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন না করলে এবং কাগজে কলমে এর শাস্তি কুফল বর্ণনা থাকলেই চলবে না। শুধু সাইনবোর্ডেই বাল্যবিবাহ মুক্ত জেলা – উপজেলা লেখা থাকবে। সাইনবোর্ডই সমাজে সাধু বেশে ওুৎ পেতে থাকা অপরাধিদে অভাশ্রয় হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102