বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি ইন্দুরকানীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার

শেরপুরে এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে সুলতান

শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর :
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ৭২৬ বার দেখা হয়েছে

খামারি রুহুল আমীন গত তিন বছর ধরে খুব যত্ন নিয়ে একটি ষাঁড় বাছুর লালন পালন করছেন । আদর করে নাম রেখেছন সুলতান। গত বছর ঈদুল আজহায়  কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় সুলতানকে বিক্রি করতে পারেননি। এবার কোরবানির ঈদে সুলতানকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খামারি রুহুল আমীন পেশায় পল্লী চিকিৎসক। দুটি অস্ট্রলিয়ান গাভী দিয়ে খামার শুরু করেছিলন তিনি। সেই খামারে থাকা একটি গাভী তিন বছর আগে এই ষাঁড় বাছুরটি জন্ম দেয়।

খামারি রুহুল আমিন জানান, সুলতানের বর্তমান ওজন ১ হাজার ৭’শ কেজি বা ৪২ মণ। তিনি দাবি করেন বর্তমানে সুলতানই জেলার সর্বোচ্চ ওজনের ষাঁড় । তিনি বলেন, খড়, তাজা ঘাস বাদেও সুলতানকে প্রতিদিন অন্তত ১০ কেজি করে খৈল, ভুসি, ভাতের মাড় ও চালের খুদি খাওয়াতে হয়। গত বছর করোনার কারণে সুলতানকে বাজারে তুলতে পারেননি। তাই খামারে এসেই অনেকে দরদাম করেছে। সে সময় সর্বাোচ্চ দাম বলা হয়েছিল ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আমি চেয়েছিলাম ১৫ লাখ। তাই দাম পছন্দমতো না হওয়ায় সুলতানকে বিক্রি করিনি। তিনি বলেন, এক বছর সুলতানের ওজন বেড়েছ। তাই এবার দামও বেড় গেছ। এবারের কোরবানির ঈদে এর দাম চাইবো ২০ লাখ টাকা।

রুহুল আমীন বলেন, সুলতানকে খামার থেকে বের করতে কমপক্ষ ৫ থেকে ৬ জন লোক লাগে। তাই সচরাচর তাকে বের করি না। শেরপুরে এই দামের গরুর ক্রেতা খুব একটা নেই। তাই সুলতানক ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। এতো বড় ষাঁড়কে ট্রাকে বা কোন যানবাহনে নেওয়াও কঠিন। করোনার কারণে এবারও হাটে নেওয়া না গেলে বিপদে পড়ে যাবো।

এদিকে সুলতানকে নিয়ে গ্রামের পাশাপাশি জেলার অনেকেরই রয়েছে কৌতূহল। প্রায় প্রতিদিনেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশালাকৃতির সুলতানকে দেখতে আসেন অনেকেই। তুলছেন আবার সেলফি।

সুলতানকে দেখতে আসা ওয়াহিদুল বলেন, শেরপুর জেলায় সচরাচর এমন বড় ষাঁড় দেখা যায় না। কয়েকজনের কাছে সুলতানের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির হাটে জনসমাগম কম হতে পারে। তাই আমরা অনলাইন প্ল্যাটফ্রম করেছি যাতে সুলতানের মতো ভালো গরুসহ সব ধরনের পশু সহজে অনলাইনে ছবি দেখে বিক্রি করা যায়।

দেশ যুগান্তর/আরজে

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102