ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই স্লোগানকে ধারণ করে শেরপুরে আগামী ৫ থেকে ১৯ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবার বছরে দু’বার দিনব্যাপী এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানা হলও করানা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবারের ক্যাম্পইন দুই সপ্তাহ করা হয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় ৬ থক ১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ১শ ১৭জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৮১ হাজার ৯শ ৮৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলসহ মোট ২ লাখ ৫ হাজার ১শ ১জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ১ হাজার ৩৪৬টি টিকাদান কেন্দ্রের ২ হাজার ৬৯২ জন সেচ্ছাসেবক’র সহায়তায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার (২ জুন) শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়টশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ।
কর্মশালায় জানানো হয়, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত। এটা শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন ‘এ’ নিয় প্রচারিত গুজব কান না দেয়ারও আহবান জানানা হয় । সেই সঙ্গে সব অভিভাবককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য নির্ধারিত বয়সের মধ্যে সব শিশুকে কাছের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সিভিল সার্জন আরও জানান, টিকা খাওয়ানোর পূর্বে অভিভাবক ও শিশুর করোনার স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হবে। সেই সাথে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও স্ক্রিনিং করা হবে।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আকরাম হোসেন। কর্মশালায় জেলা তথ্য কর্মকর্তা তাছলিমা জান্নাত, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান , সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর টাইমস সম্পাদক শাহরিয়ার মিল্টন সহ জেলার কর্মরত প্রিট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশ যুগান্তর/আরজে