জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়াই করছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন ।
ক্লিন ইমেজের এই নেতাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তার পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন তৃণমূলের অনেকেই। এমনটাই দাবি- সম্মেলনে সভাপতিপ পদ চাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিনের ।
জানা যায়, দীর্ঘ ৭ বছর আসছে ২২ নভেম্বর ২০২২ ইং লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। জেলার রাজনীতিতে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। শহরে পোস্টারিং, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দলীয় নবীণ-প্রবীণ নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নানান মাধ্যমে জানান দিচ্ছেন একাধিক নেতা। জেলার গুরুত্বপূর্ণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিশেষ আগ্রহ। তবে সভাপতি পদে জনমুখে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিয়া বিষয় সম্পাদক হিসেবে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৪ সালে সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে প্রার্থী হওয়ার পর জেলা কমিটিতে রাখেনি জসিম উদ্দিনকে।
তার পক্ষে বিভিন্ন নেতাকর্মীরা পোস্টারিং, ফেস্টুন ও তোরণ নির্মাণ করছেন।জেলা শহরে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায়, চায়ের দোকানসহ সব জায়গায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন এই ত্যাগী নেতা।
রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটে নেতৃত্ব দিয়েছেন পিপি জসিম উদ্দীন । মেধাবী এই নেতা চৌমুহনী এস এ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোয়াখালী জেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেশাগত বর্তমানে ২০০৯ সালে কর্মজীবনে পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি.) চলমান লক্ষ্মীপুর জেলা জজ কোর্টে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতি পূর্ব ১৯৯৬ সাল হইতে ২০০১ ই ং পর্যন্ত এ পি.পি. দায়িত্ব ছিলেন।
বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের নির্যাতিত মামলা হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের কারাবন্দীদের মুক্তিসহ জেলার সকল দলীয় কার্যক্রমে সক্রীয় ভাবে কাজ করে আসছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি লক্ষ্মীপুর জেলা সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। লক্ষ্মীপুর বারের ২ বার সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে জনসেবামূলক কাজ করে আসছেন। এবং বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা, স্কুল কমিটির সভাপতি দীর্ঘ বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসায় ব্যবস্থাপনা পরিষদে শীর্ষ পদে দাঁয়িত্ব পালন করছেন।
জেল-জুলুমকে নিত্যসঙ্গী করে রাজপথে নিজেকে সোচ্চার রেখেছেন। তিনি পরিচ্ছন্ন, বিশ্বাসী, পরিক্ষিত, নিবেদিত ও পরিশ্রমী নেতা হিসেবে সুপরিচিতি রয়েছে তার। এই নেতাকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান আরও শক্তিশালী তৃণমূল আঃলীগ ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা চারটি আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কা নির্বাচিত করে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন পিপি জসিম উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। তাই তৃণমূলের দুঃখ-দুর্দশার দূর করে দলকে তৃণমূল থেকেই শক্তিশালী করবো ইনশাআল্লাহ। স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে অগ্রভাগে থেকেছি এবং আগামীতেও থাকবো।