এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণকে ডাঃ সাইফুল ইসলাম (বাদল) কটুক্তি করায় মারমুখি অবস্থার সৃষ্টি হলে ঘটনা স্থল থেকে চম্পট দেয়।পরে স্থানীয়রা ডাঃ বাদল সুপার মার্কেট থেকে বিভিন্ন মাদক সরবরাহ ও বিক্রি সহ বিভিন্ন স্থান থেকে সময়ে সময়ে নারী আনা হয় এ নিয়ে স্থানীরা ডাঃ বাদলকে অবহিত করলেও তিনি কোন প্রকার প্রতিরোধমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন।
এ ঘটনা দেখতে শত শত-নর-নারীর ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী চর বাঙ্গলী এলাকায় নিরাময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -২ এর ডাঃ বাদল সুপার মার্কেটের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সরিষাবাড়ী মহাদান ইউনিয়নের বাশবাড়ী গ্রামের আব্দুল গফুর এর ছেলে ৩ সন্তানের জনক শহিদুল ইসলাম(৩২)হরেক রকম জিনিস পত্র বাড়ী বাড়ী ফেরি করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি এক সপ্তাহ পূর্বে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসী চন্দনপুর গ্রামের আব্দুল হক এর বিবাহীতা মেয়ে শাবনুর খাতুন(২০) এর সাথে শহিদুল ইসলামের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ওই সম্পর্কের জের ধরে গত দু-দফায় সাক্ষাতের পর ৩য় বার আজ সোমবার সকাল ১১ টায় শহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে তার প্রেমিকা শাবনুর কে ডেকে ডাঃ বাদল সুপার মার্কেটের ২য় তলার একটি সিডি কক্ষে নিয়ে অনৈতিক কাজে জডিয়ে পড়ে।
এ বিষয়টি স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে দুই কপোত-কপোতিকে অনৈতিক অবস্থায় দেখতে পেয়ে জনতা আটক করে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ কে খবর দিলে থানার এস আই আলতাফুর রহমান ঘটনা স্থল থেকে কপোত-কপোতিকে সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে।
জানতে চাইলে হোমিও ডাঃ সাইফুল ইসলাম বাদল সাংবাদিকদের জানান, আমি সব সময় মার্কেটের ভাড়াটিয়াগণের খোজ খবর নিতে পারিনা। এখানে মাদক বিক্রি ও নারী আনা হয় এ বিষয়টি বেলাল হোসেন সহ কয়েকজন আমাকে অবগত করেছিলেন। এসব ভাডাটিয়া আর রাখবোনা। তাদের দু’জনকে পুলিশে দিয়েছি। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দু-জনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে