জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। সব ধরনের যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শত শত মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে ব্রীজটি। জরুরী ভিত্তিতে সংযোগ সড়কটি সংস্কার করে ব্রীজটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলা সদরের সঙ্গে শহরমুখী নির্ভর উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা কাজিপুর এবং মাদারগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ চর শিশুয়া-বাঘমারা ব্রীজটি। ঝারকাটা ঝিনাই নদীর ওপর নির্মিত এই ব্রীজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়কটি বুধবার রাতে ভারী বর্ষণের ফলে এবং নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংযোগ সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের সবকটি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুরসহ প্রায় ৫০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দুভোর্গে পড়েছে।
অপরদিকে ব্রীজের পিলারের গোড়ার মাটি সরে যাওয়ায় ব্রীজটিও হুমকির মুখে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়া চরাঞ্চলের এসব মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসলাদি বাজারজাত করতে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে আরামনগর বাজারে হাট বসে। এ হাটে কেনা-বেচার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে। ওইদিন এ সড়কে আরও চাপ বেড়ে যায়।তখন ব্রীজের দুই পাশে যানবাহনের জটলা লেগেই থাকে।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নিকট ব্রীজের সংযোগ সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি বেইলি ব্রীজ স্থাপন করার দাবী জানান।
মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী রকিবুল হাসান বলেন, ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।