জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৮ নং মহাদান ইউনিয়নের বেশির ভাগ রাস্তা মাটির।গত এক যুগেরও অধিক সময় নেই কোন উন্নয়ন।পুরো ইউনিয়ন জুড়ে কাচা রাস্তাগুলোতে গর্ত আর গর্ত।
স্থানীয়দের অভিযোগ দেশনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের পরিবর্তে দলীয় নেতা কর্মীরা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান ( জুয়েল) তৈরী করেছে মহাদান ইউনিয়নটিকে এক নরকের রাজ্য ।
উক্ত ইউনিয়নের নামে সকল বরাদ্ধ অর্থাৎ টি,আর, কাবিখা ও গ্রামীণ অবকাঠামো ও রক্ষণাবেক্ষণের সকল প্রকল্পের অর্থ চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে নয় ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,মহাদান ইউনিয়নের সকল রাস্তা ঘাটের অবস্হা খুবই খারাপ। বিশেষ করে ২নং ওয়ার্ডের খাগুরিয়া ও বড়শরা গ্রামের রাস্তা ঘাটের অবস্থা খুবই নাজুক। খাগুরিয়া গুঠুর মোড় থেকে বালিয়া খাস পাড় হয়ে ধোপাদহ ফকির বাড়ি পর্যন্ত,মিলিটারীর মোড় থেকে খাগুরিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসা পর্যন্ত ও সাজুর মোড় থেকে বলাকা ইট ভাটা পর্যন্ত রাস্তায় শুধু বড় বড় গর্ত লক্ষ্য করা যায়।মোটর সাইকেল চালাইয়া আসা খুবই দুরুহ ব্যাপার। এমনকি রাস্তাগুলোতে পায়ে হেটে চলাই মুশকিল।সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় হাটা যায়না এমনকি কেউ হঠাৎ অসুস্থ ও গর্ভবতী মায়েদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও মুশকিল। এ রাস্তায় কোন ভ্যান ও অটো রিক্সা আসতে চায়না। এরই প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে দেখা যায় স্হানীয় যুবক মাইনুল ইসলাম (২২) প্রতিবাদ হিসেবে রাস্তায় বড়ছি দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে!
স্থানীয় বাসিন্দা মনোহর আলী জানান,গত নির্বাচনে জুয়েল চেয়ারম্যান সাজুর মোড়ে এক মিটিং এ বলেছিলেন,আমি নির্বাচিত হলে ২নং ওয়ার্ডকে আমি ডিজিটাল ওয়ার্ড করব।কিন্তু দুঃখের বিষয় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও সে আজ পর্যন্ত এ ওয়ার্ডে পা রাখে নাই।এমনকি পূর্বের চেয়ারম্যান আজমত আলী মাস্টারও কোন উন্নয়মূলক কাজ করে নাই
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সামস উদ্দিন সামু’র সাথে কথা হলে তিনি জানান,আমি ও স্হানীয়দের উদ্যোগে কয়েকবার রাবিশ ও ইটের ভাঙ্গা আদলা এনে রাস্তা ঠিক করেছি। আমি বার বার চেয়ারম্যান কে বললেও কোন লাভ হয় নাই।
কথা হলে ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেন মোস্তফা জানান, বরাদ্ধ আছে।নাই কোনু।বরাদ্ধ কয় যায় তা জানিনা।কাজ কয় টাকার হয় তা কি জানেন না?
৮ নং মহাদান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান জুয়েল বলেন, চাহিদা মত বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা সম্ভব হয়নি।
সচেতন মহল এব্যাপারে স্থানীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর আস্হাভাজন ব্যক্তি সাখাওয়াত আলম মুকুল ও তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান এর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে