জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কামরাবাদ ইউপির সোনাকান্দর গ্রামে যৌতুক না পেয়ে এক নারীকে বেধম প্রহার করে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।ভুক্তভোগী নারী পারভীন আক্তার (২৩) পৌরসভার কামরাবাদ গ্রামের মৃত আঃগফুরের কন্যা বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী পরিবার ও সরেজমিনে জানা যায়, বিগত ৫ বৎসর পূর্বে মুসলিম শরাশরিয়ত মোতাবেক উপজেলার কামরাবাদ ইউপির সোনাকান্দর(হদুর মোড়) গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আঃ মালেকের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় মেয়ের বাবা তার জামাইকে ৩৫ হাজার টাকা যৌতুক দেন। আরো ৫০হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ভুক্তভোগী নারীকে গত শনিবার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর বাড়িতে যৌতুকের টাকা না নিয়ে যাওয়ায় তার স্বামী মালেক, শ্বাশুড়ি মালেকা বেগম ও খালা শ্বাশুড়ি জুলেখা বেগম তিনজনে মিলে কাঠের চলা দিয়ে বেধম প্রহার করে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী নারী পারভীন জানায়,আমার বিয়ের সময় আমার বাবা ৩৫ হাজার টাকা আমার স্বামীকে যৌতুক হিসেবে দেন।আরো ৫০ হাজার টাকা আমার মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যেতে বলে।তাই আমি গত শনিবার আমার দুই সন্তান নিয়ে বাপের বাড়িতে আসি।আমার মা অন্যের বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে কোন রকমে চলে।আমি আমার মাকে টাকার কথা বললে মা বলে আমি টাকা কোথায় পাব।আমি তো নিজেই চলতে পারি না।তাই আজ আমি আমার সন্তানসহ সকালে ৫০ হাজার টাকা ছাড়াই স্বামীর বাড়িতে গেলে আমার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও খালা শ্বাশুড়ি মিলে কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।পরে খবর পেয়ে আমার মা আমার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ভুক্তভোগীর মা জানান।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক জানান,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।