জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার জাল স্ট্যাম্প ও ৪ হাজার ২০০ টি বিড়ির প্যাকেট উদ্ধার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১-এর সদস্যরা। এ ঘটনায় জামালপুর র্যাব ১৪ নায়েব সুবেদার মোঃ আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,জামালপুর র্যাব-১৪, সিপিসি-১-এর কোম্পানি কমান্ডারের নির্দেশে নায়েব সুবেদার মোঃ আফতাব উদ্দিন, এস আই নয়ন পাটোয়ারী, পিসি মোঃ রহমত আলী, এএসআই মোঃ আব্দুল খালেক, কনস্টেবল মোঃ শাহজালাল, সিপাহী মোঃ রিপন মিয়া আকন্দ, ড্রাইভার সৈনিক মোঃ রজব আলী সহ র্যাবের একটি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বাউসী বাজার অবস্থান করেন। চর বাঙ্গালী গ্রামে ছামাদের বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত টিনের ঘরে পুর্ব পরিকল্পিত ও অবৈধভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক ও কর পরিশোধিত জাল স্ট্যাম্প তৈরী করে সরকারের শুল্ক ও কর ফাকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং জাল স্ট্যাম্প জেনেও নিজ হেফাজতে রেখে বিড়ির প্যাকেটে লাগিয়ে বাজার জাত করণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব ।
এ সময় চর বাঙ্গালী গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে আব্দুস ছামাদ (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পালিয়ে যায়। র্যাব সদস্যরা টিনের ঘরটি থেকে সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক কর পরিশোধিত ৫ হাজার জাল স্ট্যাম্প, সাইদ বিড়ির মোট ৪ হাজার ২০০ টি প্যাকেট (যার মূল্য ৮৪ হাজার টাকা) জব্দ করে।পরে জামালপুর র্যাব ১৪ নায়েব সুবেদার মোঃ আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় ১৮৬০ পেনাল কোড এর ২৫৫/২৫৯/২৬০/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৫, তারিখ-৩/৬/২০২১।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার অনেকেই জানান, কয়েক বছর ধরে ছামাদ সাইদ বিড়ির রমরমা ব্যবসা করে আসছে। এ ব্যবসায় ছামাদের ছেলে ছামিউল ও মেয়ের জামাই চর শিশুয়া গ্রামের আনিছ পরিচালনা করে আসছেন। এ বিড়ি ব্যবসা থেকে প্রচুর টাকার মালিক হয়ে গেছে ছামাদের পরিবার। এদিকে অভিযানের জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিড়ির ব্যবসার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সহ আইনের আওতায় ছামাদকে নিয়ে আসার জন্য জোর দাবী জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
কথা হলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান,র্যাব বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে