জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুমন ফার্মেসীর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। মঙ্গলবার(৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে ভুক্তভোগী শিমলা বাজারস্থ সাবেক এআরএ জুট মিল প্রধান সড়কের রিয়াজ ফার্মেসীতে ইনজেকশন পুশ করতে গেলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশনের বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভ সহ সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়,সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলা বাজারস্থ সুমন ফার্মেসির মালিক ও এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা কথিত ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) এর কাছ থেকে গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পৌরসভার শিমলা বাজার(আলতা হল সংলগ্ন) এলাকার রেহান আলীর স্ত্রী শিখা আক্তার(৩৬) এর জন্য ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল এর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রানুযায়ী মেকোলাজিন-৫০০এমজি ১এমএল আইভি/আইএম ৫ টি ইনজেকশন ক্রয় করে একটি ফার্মেসী থেকে পুশ করে ৪টি ইনজেকশন বাসায় নিয়ে আসেন।বাকি ৪ টির ১ টি ইনজেকশন দেহে পুশ করার জন্য মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শিমলা বাজারস্থ আমতলা প্রধান সড়কের রিয়াজ ফার্মেসিতে গেলে ফার্মাসিস্ট ইনজেকশনটির তৈরীর তারিখ ফেব্রুয়ারী/ ২১ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণদের তারিখ জানুয়ারী /২৩ দেখে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বলে এটি পুশ করতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরে আবারও পরীক্ষামূলকভাবে ২টি ইনজেকশন কিনতে গেলে পুনরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রি করেন সুমন ফার্মেসী কর্তৃপক্ষ। পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশনের বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগতকরেন ভুক্তভোগী শিখা আক্তার ও তার পরিবার।এ নিয়ে সুমন ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর কথিত ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) ও ভুক্তভোগীর পরিবার সহ ব্যবসায়ী শহীদ মিয়া,বাদশা ভুইয়া ও বেলাল হোসেন সহ এলাকার ব্যবসায়ী সহ গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ রোগীর কোন ক্ষয়ক্ষতি ও তার জীবন ঝুকির মধ্যে যাতে না পড়ে তার ব্যবস্থা করার জন্য এক সমঝোতা বৈঠক হয়।এ ঘটনায় রোগীর পরিবার ও স্থানীয় সচেতন মহল এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা ও কথিত ডা: সুজিৎ কুমার রায়(সুমন) এর বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগী শিখা আক্তার জানান,সুমন ফার্মেসীর প্রোপাইটার ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) এর ফার্মেসী থেকে ৫টি ইনজেকশন ক্রয় করে একটি ইনজেকশন পুশ করায় আমার ডান হাতের মাংসপেশীতে জখম ও ব্যাথা অনুভূত ও শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মেয়াদ উত্তীর্ণ এলোপ্যাথিক ঔষধ বিক্রেতা ও সুমন ফার্মেসির প্রোপ্রাইটর কথিত ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে কৌশলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।পক্ষান্তরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রির বিষয়টি তার প্রাথমিক ভুল হয়েছে বলে এক সমঝোতা বৈঠকে স্বীকার করেছেন এবং ঘটনার জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত থাকা ব্যবসায়ী শহীদ মিয়া,বাদশা ভুইয়া ও বেলাল হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনেকেই নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার বিসিডিএস এর সভাপতি রবিউল কবীর উজ্জল জানান, সুমন ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর ডা: সুজিৎ কুমার রায় (সুমন) যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন বিক্রি করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি। এটি আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ হারুনুর রশিদ
বার্তা সম্পাদক : জাকির হোসেন শাকিল
আইন উপদেষ্টা : এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন
"এইচ বাংলা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত -দেশ যুগান্তর"
অফিস : পুরানা পল্টন, ঢাকা- ১০০০।
ই-মেইল : news.deshjugantor@gmail.com
যোগাযোগ : 01763592492
Copyright © 2024 দেশ যুগান্তর. All rights reserved.