জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। উক্ত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসার আসন কম থাকার অভিযোগ এনে অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন চার শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এ সময় অনুপস্থিত ছিল উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠান বর্জন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে চলে আসেন প্রায় ৪ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা।
পরে প্রশাসন আয়োজিত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত প্রধান অতিথি সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা: মুরাদ হাসান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা, সাবেক জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর যুগ্ম সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী ও সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ কে সাথে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে আসেন। এরপর তাদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠক শেষে দুই ঘণ্টা পর অনুষ্ঠানে যোগদেন ৪ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। অপর দিকে উক্ত রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদেরকেও দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ জানান, দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসনের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে পারি নাই।উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা ভুল স্বীকার করলে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রশাসনের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে যোগদেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক উপমা ফারিসা জানান, একটু ভুলবুঝির কারণে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাগন চলে গিয়েছিল। পরে সংসদ সদস্য ডা: মুরাদ হাসান স্যার সহ নেতৃস্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি পালন করেছি।