সাইনবোর্ডে লেখা আছে ” স্কুল থেকে দুলন মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হয়ে (খাদ্য গুদামের বাউন্ডারির বাহিরে) কাদির মিয়ার ঘরের সম্মুখ হয়ে জয়নাল মিয়া এবং আঃ মন্নান বাড়ির উত্তর সিমানা (খাদ্য গুদামের উত্তরের বাউন্ডারি) পর্যন্ত খাদ্য গুদামের (০৫) পাঁচ ফুট জায়গা জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।”
খাদ্য গুদামের বাউন্ডারির পশ্চিমে রয়েছে সাতটি পরিবারের বসবাস। পরিবার গুলো ইতিমধ্যে তাদের বসত গৃহ ও ভিটার অর্ধেকের বেশি হারিয়েছে।
১৯৯৬ সালে চুনারুঘাট উপজেলার আমুরোড বাজারের খাদ্য গুদামের পশ্চিমে ৪৫ শতক জমি ১৪৭৫ নং রেজিস্ট্রি কবলা মূলে খরিদ করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন উপজেলার কালামন্ডল গ্রামের মৃত আঃ হালিমের পুত্র মৃত আলী আহম্মদ। বসবাসের ২ যুগ পরে ওই ৪৫ শতক জমির ২৩ শতক খাদ্য গুদামের দাবী করে আলী আহম্মদ এর ওয়ারিশানদের জমি ছাড়ার তাগিদ দেন কর্তৃপক্ষ।
আলী আহম্মদের ওয়ারিশানদের কাছে রেজিস্টি দলিল থাকার সত্বেও তাদের কষ্টে নির্মাণ করা গৃহ ভেঙে ওই জমি খালি করে দেন।
ক্ষতি পূরণ হিসাবে পান ৮ বান টিন ও ১৬ হাজার টাকা। ২০২০ সালে খাদ্য গুদামের বাউন্ডারি নির্মাণের পরে তাদের রাস্তার ভোগান্তি শুরু হয়। বাউন্ডারির দক্ষিণ পাশে মোটামুটি চলাচলের রাস্তা থাকলেও পশ্চিমে হাজী দুলন মিয়ার বসত বাড়ি। যেখানে রাস্তার কোনো অস্তিত্বও নেই। বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করার মতো আর কোনো দিকে সুযোগ সুবিধাও নেই। ফলে ওই সাত পরিবারের সদস্যদের অন্যের আবাদি জমির চিকন আইল ব্যবহার করে হাটবাজার, স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হয়।
বাউন্ডারি নির্মাণের সময় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ৫ফুট জমি জনসাধারণের জন্য রেখে দিয়েছেন বললেও এর কোনো সিম-সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় নি। বাউন্ডারির দক্ষিণ পাশের বসবাসকারীদের চলাচলে তেমন সমস্যা না থাকায় এ বিষয়ে তারা কোনো সাড়াশব্দ করছেন না। বিপাকে -বেকায়দায় পড়ে থাকা পশ্চিমে বসবাসকারী পরিবার গুলোর সকলেই দিন মজুর। রাস্তার বিষয়ে তারা আশপাশের মুরুব্বি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত ছুটাছুটি করে কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা ওই পাঁচ ফুট রাস্তাকে সিম-সিমানা দিয়ে সনাক্ত করে দিলে তাদের এ ভোগান্তির অবসান ঘটে।
বিষয়টি নজরে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আঃ মন্নান, জয়নাল মিয়া, কাদির মিয়া, জলিল মিয়া, গনি মিয়া, বাবুল মিয়া ও মিজান মিয়া সহ ওই সাত পরিবারের সদস্যরা।