বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে দেশকে ভালোবাসতে হবে—জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন যুবদলের সদস্য সচিবকে নিয়ে গুজব রটানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ‎জমিসংক্রান্ত জেরে শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা চেষ্টা, থানায় অভিযোগ ‎ নিউজ প্রকাশের পর পরিসংখ্যানের জাকির কর্মকর্তা থেকে কর্মচারী ইতালিতে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি  দিবস পালন করা হয়   ‎যৌন-হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রায়পুরের পরিসংখ্যান কর্মচারী জাকিরের বিরুদ্ধে ‎ রায়পুরে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ইতালি ভিস্নেজা প্রবীনছের কাউন্সিলর এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আলোচিত সেই সোহেলকে অব্যাহতি ইন্দুরকানীতে বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার

সাইনবোর্ডেই রাস্তা-বাস্তবে বসত বাড়ি, সাত পরিবারের ভোগান্তির নেই শেষ!

আজিজুর রহমান আজিজ, হবিগঞ্জ :
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৬৫৭ বার দেখা হয়েছে

সাইনবোর্ডে লেখা আছে ” স্কুল থেকে দুলন মিয়ার বাড়ির সম্মুখ হয়ে (খাদ্য গুদামের বাউন্ডারির বাহিরে) কাদির মিয়ার ঘরের সম্মুখ হয়ে জয়নাল মিয়া এবং আঃ মন্নান বাড়ির উত্তর সিমানা (খাদ্য গুদামের উত্তরের বাউন্ডারি) পর্যন্ত খাদ্য গুদামের (০৫) পাঁচ ফুট জায়গা জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।”
খাদ্য গুদামের বাউন্ডারির পশ্চিমে রয়েছে সাতটি পরিবারের বসবাস। পরিবার গুলো ইতিমধ্যে তাদের বসত গৃহ ও ভিটার অর্ধেকের বেশি হারিয়েছে।

১৯৯৬ সালে চুনারুঘাট উপজেলার আমুরোড বাজারের খাদ্য গুদামের পশ্চিমে ৪৫ শতক জমি ১৪৭৫ নং রেজিস্ট্রি কবলা মূলে খরিদ করে সেখানে বসতি স্থাপন করেন উপজেলার কালামন্ডল গ্রামের মৃত আঃ হালিমের পুত্র মৃত আলী আহম্মদ। বসবাসের ২ যুগ পরে ওই ৪৫ শতক জমির ২৩ শতক খাদ্য গুদামের দাবী করে আলী আহম্মদ এর ওয়ারিশানদের জমি ছাড়ার তাগিদ দেন কর্তৃপক্ষ।

আলী আহম্মদের ওয়ারিশানদের কাছে রেজিস্টি দলিল থাকার সত্বেও তাদের কষ্টে নির্মাণ করা গৃহ ভেঙে ওই জমি খালি করে দেন।

ক্ষতি পূরণ হিসাবে পান ৮ বান টিন ও ১৬ হাজার টাকা। ২০২০ সালে খাদ্য গুদামের বাউন্ডারি নির্মাণের পরে তাদের রাস্তার ভোগান্তি শুরু হয়। বাউন্ডারির দক্ষিণ পাশে মোটামুটি চলাচলের রাস্তা থাকলেও পশ্চিমে হাজী দুলন মিয়ার বসত বাড়ি। যেখানে রাস্তার কোনো অস্তিত্বও নেই। বিকল্প রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করার মতো আর কোনো দিকে সুযোগ সুবিধাও নেই। ফলে ওই সাত পরিবারের সদস্যদের অন্যের আবাদি জমির চিকন আইল ব্যবহার করে হাটবাজার, স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হয়।
বাউন্ডারি নির্মাণের সময় খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ৫ফুট জমি জনসাধারণের জন্য রেখে দিয়েছেন বললেও এর কোনো সিম-সিমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয় নি। বাউন্ডারির দক্ষিণ পাশের বসবাসকারীদের চলাচলে তেমন সমস্যা না থাকায় এ বিষয়ে তারা কোনো সাড়াশব্দ করছেন না। বিপাকে -বেকায়দায় পড়ে থাকা পশ্চিমে বসবাসকারী পরিবার গুলোর সকলেই দিন মজুর। রাস্তার বিষয়ে তারা আশপাশের মুরুব্বি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত ছুটাছুটি করে কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা ওই পাঁচ ফুট রাস্তাকে সিম-সিমানা দিয়ে সনাক্ত করে দিলে তাদের এ ভোগান্তির অবসান ঘটে।

বিষয়টি নজরে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসন সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আঃ মন্নান, জয়নাল মিয়া, কাদির মিয়া, জলিল মিয়া, গনি মিয়া, বাবুল মিয়া ও মিজান মিয়া সহ ওই সাত পরিবারের সদস্যরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আমাদের YouTube চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Desh Jugantor
Design & Developed by RJ Ranzit
themesba-lates1749691102