সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বেতুরা-আছদনগর গ্রামে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করায় একই গ্রামের হামলাকারী আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল মতলিব, রাজাকার আকবর আলী, রাজাকার আছদ্দর আলী, রাজাকার পুত্র মাসুক মিয়া সহ লোকজন মামলার বাদী মনোয়ারা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। মামলা তুলে না নিলে তারা মনোয়ারা বেগমকে হত্যা করে লাশ সুরমা নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। গত ৮মে শনিবার রাতে বেতুরা-আছদনগর গ্রামের মনোয়ারা বেগমের বসতঘর পুরুষশুন্য থাকায় একই গ্রামের জুনায়েদ আহমদ রুবেল বসত ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় মনোয়ারা বেগম সহ আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে আটক করে।
বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার পর জুনায়েদ আহমদ রুবেলের ভাই সহ স্বজনরা মনোয়ারা বেগমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে জুনায়েদ আহমদ রুবেলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রুবেল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-২৭,তাং-২৪মে/২১) দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী আব্দুর রহিমকে ৪ জুলাই পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আব্দুর রহিম গ্রামের মৃত মনোহর আলীর পুত্র। ওই মামলার প্রধান আসামী জুনায়েদ আহমদ রুবেলকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। জুনায়েদ আহমদ রুবেল, নাজমুল হোসেন, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগের মামলা সহ আরো একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী ভিকটিম শ্যামা আক্তারের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। ঘর-বাড়িতে হামলা করেছে আসামীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মামলার প্রধান আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। আসামী আব্দুর রহিম গ্রেফতারের পর থেকেই আব্দুর রহিমের পরিবার ও অনুসারীরা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তারা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। তার ও তার মেয়ের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য আব্দুল মতলিব ও আকবর আলী রাজাকারের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের নামে এক প্রতারককে দিয়ে ফেইসবুকে লাইভে এসে ভিডিও পোস্ট করেছে। একাধিক মেয়ে কেলেংকারীর ঘটনায় জড়িত আব্দুর রহিম ও আব্দুল মতলিবের পরিবার। নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে তারা অপরের নিন্দা করছে। কয়দিন পরপর ভূইফোড় সাংবাদিক নামধারী একজনকে এনে ফেইসবুক লাইভে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এতে গ্রামবাসীর মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ছাতক থানার এস আই আতিকুর রহমান খন্দকার জানান, এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।