পরক্রিয়াকে কেন্দ্র করে প্রবাসী স্ত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মিথ্যা মামলা বাদী মাঈন উদ্দীনের শাস্তি দাবি জানান সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার।
সোমবার ২ জানুয়ারি (২০২৩ ইং) সকাল ১০টায় তার নিজ বাড়ি উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের খোলার বাড়িতে এলাকাবাসীর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার, তার ছোট বোন রুনা আক্তার লিখিত বক্তব্যে জানান, হামছাদী ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রীকে জেসমিন আক্তারে ওই এলাকার বশির উল্যার ছেলে মোঃ মাঈনের উদ্দিনের ভুয়া, বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে গত ১১ ডিঃ ২০২২ ইং।পুলিশ জেসমিন আক্তারকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন, ১০ দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হন জেসমিন আক্তার।
সসম্প্রতি একই এলাকার মাইন উদ্দিন বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার এবং ৭ বছরের মেয়ে আয়েশা আক্তারকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে গত ১০ ডিঃ ২০২২ ইং একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত মাঈন উদ্দিন, যাহার জিয়ার নং ৫৭৫। ওই মামলায় তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার পরক্রিয়া লিপ্ত থাকায় একই এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র কাউসার( ২৩) এর সাথে পালিয়ে যায়। তারই সূত্র দরে রহস্যজনকভাবে আমাকে মিথ্যা মামলা আসামী করা হয়েছে। ফেন্সি এবং কাউসার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।জানা ছিলও না। পরে ফেন্সির পরক্রিয়া আসক্ত প্রেমিক কাউসারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগেই পুলিশ আমাকে মিথ্যা মামলা গ্রেফতার করে শারীরিক মানসিক ও সাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন করে।আমার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে আয়শা আক্তার কাকলি (১৬) ছোট মেয়ে মারওয়া আক্তার(১৩)কে সমাজের মানুষ হেপ্রতিপন্ন ও অপমানিত করে কথা বলে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার সুষ্ঠ তদন্ত ও অভিযুক্ত মাঈন উদ্দিনের বিচার দাবী জানিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার তারই ছোট বোন রুনা আক্তার। ফেন্সি এবং কাউসারের পরক্রিয়া প্রেমের ঘটনা আমাদের পরিবারে কারো কোন হাত ছিল না, জানাও নেই। তাহলে প্রবাসী মাঈন উদ্দিন কেনো আমাকে মিথ্যা মামলা দিল এর বিচার দাবি করি।