মরনব্যধি করোনাভাইরাস যার প্রাদুর্ভাবে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে হাজারো মানুষ, আর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে লাখো মানুষ। প্রতিষেধক নিয়েও রেহাই পাচ্ছেনা এর থেকে। পর্যায়ক্রমে বিস্তার করেছে সারাবিশ্বে। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজারের মত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কখন যে এর তাণ্ডবলীলা শেষ হবে তার কোন নিশ্চয়তা এখনো পাওয়া যায়নি। গতকাল পর্যন্ত হাটহাজারী হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে ১০ জন। করোনা শুরু থেকে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২ দিনে পর্যন্ত হাসপাতাল সুত্রে জানায়ায়। প্রতিদিন লোকজন ভীড় করছে বাজার গুলোতে।
করোনাভাইরাস কোভিড ১৯ এর দ্বিতীয় ধাপের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। গত ১লা জুলাই থেকে এই লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেও লকডাউনের তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিধিনিষেধ অমান্য করায় বেশ কয়েকটি কয়েকটি হোটেল ও মুদির দোকানে মামলা করে জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যামান আদালত।
প্রতিদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন সহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শরিফ উল্লাহ’র নেতৃত্ব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে কিছুতেই টেকানো যাচ্ছেনা বিভিন্ন এলাকার খেলার মাঠ থেকে বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়দের, পাড়ায় পাড়ায় কিছু কিছু যুবকদে আড্ডাও থেমে নেই। বিভিন্ন এলাকার স্কুলেরর বারান্দায় মাঠে ঘাঠে বসে বসে মোবাইলে প্রিফায়ার নিয়ে ৭/৮জন এক জায়গায় বসে শারিরীক দুরত্ত বজায় না রেখে আড্ডা গেইম নিয়ে ব্যস্ত রুকতে পারছেনা কেউ তাদের।অলি গলির ছিপাচাপার গল্লির মধ্যে দাঁড়িয়ে গল্প গুজব করেই তাদের এ আড্ডা জমজমাট ভাবে জমতে দেখা যাচ্ছে। কারো মুখে নেই কোন মাস্ক, স্ব্যাস্ত বিধি না মানলে এই রোগ ব্যাপক আকার রুপ ধারন করবে বলে জানান হাটহাজারী হাসপাতালের টি,এইচ,ও সৈয়দ ইমতিয়াজ শামিম। এলাকার সকল অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান যে তারা তাদের ছেলে সন্তানদের সন্তানদের যেন ঘরে রাখেন। বাড়ির বাহির হলেই যেন মাস্ক ব্যাবহার করেন। ইতিমধ্যে হাটহাজারীতে প্রায় ৩ হাজার মতো করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েক সুস্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে।
অভিযানকালে পৌরসভার ও উপজেলার মদুনা ঘাট, সহ বিভিন্ন এলাকায় খাবারের দোকানদারকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হোটেলের ভিতর ভোক্তা বসিয়ে খাবার বিক্রি করায় কয়েক হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
এদিকে বিকেল ৫টার পরেও দোকান খোলা রেখে নির্দ্বিধায় ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীরা, তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দ্রুত দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়ে পরবর্তীকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পর যাতে দোকান খোলা না রাখে সেই ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এছাড়া বিভিন্ন মোটর সাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেট কারকে যাচাই-বাছাই করে বিভিন্ন অংকের অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
লকডাউন বাস্তবায়নের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, কঠোর লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে সাধারণ জনগণের উদ্দেশে মাইকিং করে ও মৌখিকভাবে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। লকডাউনের আগামী দিনগুলোতেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। লকডাউন চলাকালে হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ সদস্য ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিপিসি-২ হাটহাজারী ক্যাম্প সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।