নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর বড় একটি কারণ হচ্ছে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক। সাধারণত হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত চলাচল কমে গেলে বা বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। অথবা রক্ত চলাচলের শিরা-উপশিরাগুলোতে কোনো ব্লক হলে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
তবে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। তাই আগেভাগেই যদি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো ধরতে পারেন, তবে হয়তো অকাল মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকেই দেহ কিছু সতর্কতা সংকেত দিতে শুরু করে। চলুন জেনে নেয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়-
ঠাণ্ডা বা ফ্লু
হার্ট অ্যাটাকের শিকার অনেককেই এক মাস আগে থেকে ঠাণ্ডা-সর্দি বা ফ্লু-তে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে।
ঠাণ্ডা ঘাম
রক্তপ্রবাহ কমে গেলে দেহে ঘাম ঝরলে স্যাঁতসেতে ও ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হবে। তখন সতর্ক হওয়া জরুরি।
ঝিমুনি
দেহে রক্তের প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনিও দেখা দেয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ঝিমুনির সৃষ্টি হয়। তাই সতর্ক হন।
বুক ব্যথা
বুকে ব্যথা এবং সংকোচন হৃৎপিণ্ডের অসুস্থতার একটি বড় লক্ষণ। তাই বুক, বাহু, পিঠ এবং কাঁধে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
শ্বাসকষ্ট
ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ না হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের সমস্যা থাকলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল কমে যায়। আর শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস ছোট হয়ে আসার মতো সমস্যা দেখা যায়।
অস্বাভাবিক রকমের শারীরিক দুর্বলতা।
রক্তপ্রবাহ কমে গেলে এবং রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা হয়। রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোতে চর্বি জমে বাধা সৃষ্টি করলে এবং মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়লে হৃদরোগের প্রধানতম এ লক্ষণটি দেখা দেয়।
বমি, বদহজম, তলপেটে ব্যথা
বমিভাব, বদহজম, বুক হৃৎপিণ্ডে জ্বালাপোড়া করা বা তলপেটে ব্যথাও অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এই লক্ষণগুলো দেখা গেলেও হৃদরোগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া