লক্ষ্মীপুর পৌর শহর মজুপুর মানারাত হাসপাতালের নামের বৈদ্যুতিক মিটার জাল জালিয়াতি করার অপরাধে ওবায়দুর এখন কারাগারে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ভূয়া এফিডেভিট করে পিডিপি বিদ্যুৎ অফিসে ওবায়দুলের নামে দরখাস্ত সাবমিট করেন, বিষয়টি মানারাত হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ নজরে আসলে গত ১৬ নভেম্বরে ২০২০ ইং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওবায়দুলের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি মামলা করেন হাসপাতালে কতৃপক্ষ। যাহার মামলা নং ৮৭৮/২০ ইং। দীর্ঘ ৩ মাস ওবায়দুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে জাল জালিয়াতি করার সঠিক তথ্য প্রকাশ করেন নোয়াখালির পিবিআই।
পিবিআই অভিযুক্ত ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিলে আদালত সমন জারি করে।
গত ১১ এপ্রিল অভিযুক্ত ওবায়দুর রহমান কোর্টের আদেশ অগ্রাজ্য করে হাজিরা দান থেকে বিরত থাকে।
১৭ এপ্রিল বাদি পক্ষকে অপ্রস্তুত রেখে ওবায়দুর রহমান কোর্টে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এর পর ২১ এপ্রিল সে জজ কোর্টে জামিনের জন্য পুনঃ আবেদন করেন , এসময় মাননীয় আদালত তার জামিনের আবেদন গ্রহণ করে শুনানীর জন্য দিন ধার্য করে।
মানারাত হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউচুফ চৌধুরী জানান ওবায়দুর রহমান খান নামের ব্যক্তির জাল জালিয়াতীর ঘটনা আরো আছে। তিনি বলেন জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তির চেক চুরি করে ৫ লক্ষ টাকা ল²ীপুরের এনসিসি ব্যংক থেকে জালিয়াতি করে উত্তলন করতে গেলে সে হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরবর্তিতে কান ধরে উঠবস করা সহ উপস্থিত সকলের পাঁয়ে ধরে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যায়।
ক্ষ্যাতিমান সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. সেকান্দর হোসাইন মজুপুরে একটি জমিন ক্রয় করলে সেই জমিনের একটি জাল দলিল করেও সেখানে ওবায়দুর রহমান জালিয়াতী করার চেষ্টা করলে ডা. সেকান্দর হোসাইন র্যাবে আবেদন করে। পরে র্যাবের হস্তক্ষেত্রে এবং র্যাব সদস্যরা ওবায়দুর রহমানকে ধরে নিয়ে গেলে সেখানে মুসলেকা দিয়ে এ ধরনের কাজ করবেনা বলে ছাড় পান।
২০১৬ সালে মানারাত হাসপাতালের নার্সদের থাকার জন্য মানারাত ভবনের পিছনের ভবন ভাড়া নিতে গেলে সেই ভাড়া চুক্তিনামায়ও তিনি জালিয়াতী করে নিজের নাম সংযুক্ত করে বলতে থাকেন তিনি মানারাত হাসপাতাল ভাড়া দিয়েছেন। অথচ ২০০৮ সালে মানারাত হাসপাতাল লি: কর্তৃপক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আতায় রাব্বির কাচ থেকে মেহরন প্লাজা নামের নির্মানাধিন ভবন ক্রয় করেন। যা পরবর্তিতে মানারাত হাসপাতাল নামে কার্যক্রম শুরু করে।
জালজালিয়াতি করে লক্ষ্মীপুর মজুপুর এলাকায় একটি ৫ তলা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে দেন, পাশাপাশি একই ভবনের কাছে একটি একতলা ভবন নিমার্ণ করে সে ভবনে অভিযুক্ত ওবায়দুর রহমান ঐ বাসাতেই থাকেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ওবায়দুল রহমানের গ্রামের বাড়ি মান্দারী ইউনিয়ন স্থানীয়বাসিন্দা। তিনি লক্ষ্মীপুরে শূন্য হাতে এসে তিনি ওবারদুল এখন কোটিপতি।
গত ১৫-১৬ বছরে জাল জালীয়াতি করে মানুষের জমিন দখল ও বিক্রয় করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। তিনি কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ২-৩ টি বাড়ির মালিক।
মজুপুরের লোকজন বলেন মজুপুরে ঢাকা রায়পুর সড়কের পার্শে নির্মিত তার ৫ তলা ভবনটি সড়ক বিভাগের জমিন দখল করে নির্মিত হয়েছে।
এই পাঁচতলা ভবনে আইডিয়াল মাদ্রাসা নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিলে ওবায়দুর রহমান খান জাল কাগজ পত্র করে সেই মাদ্রাসাটিও দখল করে নিতে চেষ্টা করেন। এভাবে তার জালিয়াতির ঘটনা আরো অনেক রয়েছে বলে এলাকাবাসি এই প্রতিবেদকে জানিয়েছেন।
তারা বলেন ওবায়দুর রহমান একজন পেশাদার মামলাবাজ তিনি বিভিন্ন সম্পক্ নিয়ে একটি মামলা শুরু করে দিয়ে শান্তি প্রিয় মানুষকে হয়রানির মাধ্যমে বাধ্য করেন সেই জমিন ছেড়ে চলে যেতে অথবা নামমাত্র মুল্যে বিক্রয় করে দিতে। এভাবে দখল করতে না পারলে তিনি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়েও জমিন দখল করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি ওবায়দুর রহমান খান নামে - বেনামে বিভিন্ন লোকের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন।
সোমবার এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওবায়দুরের বক্তব্য
নেয়ার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ হারুনুর রশিদ
বার্তা সম্পাদক : জাকির হোসেন শাকিল
আইন উপদেষ্টা : এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন
"এইচ বাংলা মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত -দেশ যুগান্তর"
অফিস : পুরানা পল্টন, ঢাকা- ১০০০।
ই-মেইল : news.deshjugantor@gmail.com
যোগাযোগ : 01763592492
Copyright © 2024 দেশ যুগান্তর. All rights reserved.