জামাল উদ্দীন,কক্সবাজার প্রতিনিধি:
টেকনাফের হ্নীলায় ডাকাত রফিক হত্যাকান্ডের দায় ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি চক্র মোটা অংকের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ডাকাত রফিকের হত্যার সাথে কারা জড়িত সেটা তার স্ত্রী শামসুন নাহার কর্তৃক পুলিশের লাশ উদ্ধার কালীন সময়ে সাংবাদিকদের দেয়া বক্তব্যে প্রমান করে।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে উলুচামরী কোনার পাড়া এলাকার আনোয়ার প্রকাশ লেড়াইয়া ডাকাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা উদুরপিন্ডি ভুদুরঘাড়ে চাপানোর জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এরা তার দায় তাদের চির প্রতিপক্ষ গ্রুপ শাহ আলম, আবছারও তাদের পরিবারের উপর চাপাচ্ছে বলে সাংবাদ সম্মেলনে দাবী করেছেন।
তার প্রতিবাদে গতকাল ২১ই জানুয়ারী সকাল ১১ ঘটিকার সময় রঙ্গীখালী ৭ নং ওয়ার্ড গাজী পাড়া এলাকার নিজ বাড়ীতে শাহআলম,আবছার ও তার পরিবারের এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মলনে শাহ আলমের বৃদ্ধ চাচা সাবের আহম্মদ বলেন আমার বয়স বর্তমানে ৮০ পার এ বয়সে আমি অনেক কে হারিয়েছি ৪/৫ জন সন্তান হারিয়েছি,ভাইজির জামাই হারিয়েছি,ভাই পুত্র হারিয়েছি আমরা আর হারাতে চায়না।আমরা সুস্থধারায় ফিরে গিয়ে নিরাপদ জীবন যাপন করতে চায়। এক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের সহায়তা চাই।
শাহ আলম তার অভিযোগে বলেন আমি২০১৩ সাল থেকে অসুস্থ,যার ডকোমেন্ট আমার এই চিকিৎসা পত্র গুলি যাচাই করলে প্রশাসন বুঝতে পারবে আমি ডাকাতি বা অন্যায় কাজে জড়িত থাকতে পারব কিনা অপর দিকে অপর একটি মহল লেদার জাহাঙ্গীর অপহরণের ঘটনায়ও আমার উপর দোষ চাপিয়ে আনোয়ার লেড়াইয়া গ্রুপ কে সাথে নিয়ে স্বশস্ত্র গ্রুপে এসে আমার বসত বাড়িও আত্নীয় স্বজনের বসত বাড়ি ভাংচুর করেছেন।সেইদিন ও কিন্তু আমি এলাকায় ছিলামনা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সেই দিনের তারিখ সহ যাচাই করলে বুঝতে পারবে আমি এলাকায় ছিলাম কিনা। এইভাবে এ পযর্ন্ত যত সব ঘটনায় আমাকে জড়াইছে তা পরিকল্পিত।
সংবাদসম্মেলনে আরেক ভুক্তভোগী প্রতিপক্ষ গ্রুপের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার ছৈয়দনুর সিকদার প্রকাশ সোনামিয়ার স্ত্রী সানজিদা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, বিগত ৮ বছর আগে আনোয়ার গ্রকাশ লেড়াইয়া গ্রুপ আমার স্বামী কে উলুচামরী স্কুল এলাকা হতে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল এ পর্যন্ত আমরা প্রশাসনের কাছে কোন বিচার পায়নি। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আজ ৮ বছর যাবত আমি একজন মেয়ে হয়েও তাদের উপর্যুপরি হুমকি ধামকিতে প্রাণ নাশের শংকায় চট্টগ্রামে গিয়ে বসবাস করছি। আমাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছি।
এছাড়াও উক্ত সংবাদ সম্মলনে শাহআলম পরিবারের আরও একাধিক ব্যক্তি বক্তব্য রেখেছেন এবং পাশ্ববর্তী প্রতিবেশী শতশত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী উপস্থিত একাধিক নারী পুরুষ ও প্রতিবেশী লোকজনের সাথে কথা বলে আরো জানাগেছে আনোয়ার প্রকাশ লেড়াইয়া ডাকাতের সাথে আরো কয়েক টি পাহাড়ী সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত রয়েছে। তাদের ভয়ে আমরা মূখ খুলে কিছু বলতে পারছিনা। প্রতিনিয়ত তাদের মহড়া এই এলাকায় পাহাড়ী জনপদের প্রায়ই ১০ হাজার মানুষ তাদের হাতে জিম্মি। তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসননের সাহয়তা কামনা করেছে।