সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যুবক ফাহিম আহমদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে ও সিংচাপইড় আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।
শুক্রবার (২৫ জুন) জগন্নাথপুরে থাকা যুবকের আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির আহমদ ও ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিমের সহায়তায় মাদ্রাসা ছাত্র ফাহিমকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফাহিমসহ তিন যুবক দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের লোকনাথ মন্দিরে যায়। ওই মন্দিরে শ্রী নৃসিংহদেব এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কালীয়দমন বিগ্রহের মুর্তি রয়েছে। ফাহিম মন্দিরে মুর্তির উপর পা রেখে ছবি তুলে সে তার ফেসবুকে পোস্ট করে। তার ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশটটি বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাইরাল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জসহ সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে ছুটে যান দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুক্তাদির আহমদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। এদিকে ওই ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী যুবককে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে থানা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফাহিমকে আটক করতে সক্ষম হয়।
দেশ যুগান্তর/আরজে