অসহায় মোমেনা বেগম (৭০) এখন হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোমেনা বেগমকে তার খুপড়ি ঘর থেকে বের করে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। দীর্ঘদিন জ্বরে ভোগায় শারীরিকভাবে দূর্বল মোমেনা বেগম হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল আনিচুর রহমান মিঠু অসহায় মোমেনা বেগমকে নিয়ে তার ফেসবুক ওয়ালে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন, যেটি অনেকের নজরে আসে। রবিবার সকালেই মোমেনা বেগমের পাশে দাঁড়ান কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, কর্মরত সাংবাদিক, এনজিও কর্মীসহ আরও অনেকে।
মিঠু বলেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটায় আমি শহরের নতুন বাজারে তার খুপড়ি ঘরে যাই। কথা বলে জানতে পারি তিনি প্রায় ২০ বছর আগে সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে কালীগঞ্জে আসেন।
এখানে তার আপনজন বলতে কেউ নেই। গত ১০দিন যাবৎ জ্বর নিয়ে অনেকটা না খেয়েই ঘরে পড়ে আছেন। করোনা সন্দেহে তেমন কেউ এগিয়ে আসেননি। রবিবার সকালে আমি আবারো তার ঘরে যাই, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানান। দুপুরে কালীগঞ্জের কমর্রত সাংবাদিক, এনজিও কর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তাকে রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা শেখ মামুনুর রশিদ জানান, মোমেনা বেগমের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানতে পেরে আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাই।
এব্যাপারে হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার ইফতেখারুল আলম শুভ জানান, মোমেনা বেগমের গায়ে বেশ জ্বর। তিনি বেশ দূর্বল ও মানষিকভাবে বিপর্যস্থ অবস্থায় আছেন। তিনি আমাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন।