দোয়ারাবাজারে লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন
দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাসের চরম অবনতি হওয়ায় সোমবার থেকে লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মাঠে নেমে একযোগে কাজ করছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ ও থানা অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর। সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার মান্নারগাও ইউনিয়নের আমবাড়ী বাজার, কাটাখালী বাজারসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও রাস্তায় স্ব স্ব বিট অফিসারগন কর্তৃক সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ মাইকিং করে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাচাবাজার, ঔষধের দোকান, এবং গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া দোকানপাঠ সবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে সবাইকে দোকানপাঠ, সিএনজি, আঞ্চলিক এবং দূরপাল্লার সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ রাখাসহ ঘরের বাহিরে কেহ বের না হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। একান্তই যারা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে বের হবেন তাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক বাধ্যতামূলক ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে সীমান্তের বাশতলা, বোগলাবাজার ও কলাউড়া অঞ্চলে সিএনজি, অটো রিক্সা চলতে দেখা গেছে, এখানে প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি।
দেশে করোনায় মৃত্যু শতাধিক ছাড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিলো। কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙে রবিবার ( ২৭ জুন) মৃত্যুর নতুন রেকর্ড দেখলো বাংলাদেশ। এই সময়ে সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানা অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর জানান, সরকার ঘোষিত লকডাউনকে সফল করতে কঠোর প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। চলতি বছরের বিভিন্ন সময় ঘোষিত কয়েক দফা বিধিনিষেধের মতো এবার শিথিলতা দেখাবে না পুলিশ। এবারের লকডাউনে পুলিশ হার্ডলাইনে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, সরকারের নির্দশনা ও স্বাস্হ্যবিধি মানতে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রশাসনের সাথে সাথে সকল জনপ্রতিনিধিকে লকডাউন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে দোয়ারাবাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কাউকে রাস্তায় দেখা গেলেই জেল ও জরিমানা করা হবে।
দেশ যুগান্তর/আরজে