জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বয়স্ক-বিধবা ও শিশু ভাতা প্রদানের নামে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। ঘটনাটি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পুঠিয়ার পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পুঠিয়ার পাড় গ্রামের সাদ্দাম হোসেন জানান,সরিষাবাড়ী উপজেলার পোাগলদিঘা ইউনিয়নের পুঠিয়ারপাড় গ্রামের লেবু মিয়া,হাতেম আলী, কল্পনা বেগম তারা একই গ্রামের বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা ও শিশু ভাতা দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সাদ্দাম হোসেন আরও জানান,আমার সাড়ে তিন বছরের শিশুর জন্য শিশু ভাতার কার্ড পাইয়ে দেয়ার জন্য লেবু ও হাতেম আলী দু জনে মিলে ১ বছর পূর্বে ২ হাজার ২ শত টাকা নিয়েছে। এ ছাড়াও পুঠিয়ার পাড় গ্রামের ছোবাহান বেপারীর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা কার্ড দেওয়ার নামে ৭ হাজার টাকা,ময়না বেগম এর কাছ থেকে শিশু ভাতার কার্ড দেয়ার নামে ৯ হাজার টাকা, সোহরাব আলীর স্ত্রীর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার নামে ৪ হাজার টাকা,আনোয়ারা বেগম এর কাছ থেকে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয়ার নামে ২ হাজার ৩শত টাকা,হামিদা বেগম এর কাছ বিধবা কার্ড দেয়ার নামে ৬ শত টাকা এবং জালাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং মমতা,সুমনা,রওশনআরা,রাবেয়া, ছবুর,হরেন্দ্র, মোতালেব,দুলাল, মোশারফ সহ অনেকেরই কাছ থেকে এক নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে এ টাকা নিয়েছে লেবু মিয়া,হাতেম আলী ও কল্পনা বেগম। অনেকেই বয়স্ক,বিধবা ও শিশু কার্ড অর্থের বিনিময়ে পাইয়ে দিলেও আবার অনেকেই বঞ্চিত হওয়ায় তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।স্থানীয়রা বয়স্ক-বিধবা ও শিশু ভাতা প্রদানের নামে অর্থ আদায়কারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত লেবু মিয়া জানান,আমরা তিন জনে অন লাইনে কাজ করার জন্য কিছু টাকা নিয়েছিলাম।তিনি আরও জানান,আমরা সুপারিশ করি,কিছু লোকের কার্ড হয়েছে ও কিছু বাকী আছে সেগুলো হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান,আমার ওয়ার্ডে লেবু মিয়া,হাতেম আলী ও কল্পনা বেগম কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিনা আমি তা জানিনা। তিনি আরও জানান,যদি টাকা নিয়ে থাকে তবে তারা অন্যায় করেছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে