জামালপুর জেলার মোলান্দহ উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের২০২১ বছরে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বন্যা আক্রান্ত / অন্যন্য দুর্যোগক্রান্ত,/ দুস্থ/অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য বেশকিছু নীতিমালা অনুসরনের মধ্যে দিয়ে ৫৭৫১.০১.৩৯০০.০০০.৪২.০২৮.২১.০৫ নং স্মারকে ০৫/০৭/২১ ইং তারিখে ৫৭০৪৯টি কার্ডের বিপরীতে ৫৭০৪৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের ছাড় দিয়েছেন মেলান্দহ উপজেলা প্রশাসন। উপজোর ইউনিয়নের জনসংখ্য আনুপাতিক সুবিধাভোগী- দুরমুঠ ৪৩৫০ কুলিয়া ৪৮৫০ মাহমুদপুর৭৮০০ নাংলা ৪৬৫০ নয়ানগর ৪৩৫০আদ্রা ৪২৫০ চরবানিপাকুরিয়া ৬৫৪৯ ফুলকোচা ৩৫৫০ ঘোষেরপাড়া ৭১৮০ ঝাউগড়া ৫৯৭০শ্যামপুর ৩৫৫০ মোট ৫৭০৪৯ জনের ৫৭০.৪৯০মেট্রিকটন চাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একপত্রে একথা জানানো হয়। দেশের করোনা মহামারির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ সহ কর্মক্ষহীন হয়ে পড়ায়এবং বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সহায়তার অংশ হিসেবে অসহায়,দুঃস্থ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতিজন/ কার্ড প্রতি১০ (দশ) কেজি করে স্থাস্থবিধি মেনে ঈদের আগেই এপস্ এর মাধ্যমে ট্যাক্স অফিসারের উপস্থিতি ও অনুমোদন নিয়ে বিতরন করা হবে।নীতিমালায় তালিকা তৈরি ও নীতিমালায় বলা হয়েছ একই পরিবারের বৈধ এনআডি কার্ড,দরিদ্র- অতিদরিদ্র হতে তালিকা করণসহ প্রতিটি বিষয়ে তালিকা করণ, চাল বিতরণের পুর্বেই তালিকা অনুমোদন করাতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালবিতরণ নিশ্চিন্ত করণসহ আরো কয়েকটি নীতিমালার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতো গুলো সুবিধাভোগিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি জনে ১০ কেজি করে সারাদিন অপেক্ষা করে ৩০০ টাকার চাল ৫০০-৭০০ টাকা মজুরি বাদ দিয়ে এপস্ এর মাধ্যমে দীঘর্ক্ষণ নেটওয়ার্ক সমস্যা,বিদ্যুৎ সমস্যা,মোবাইলের সমস্যা,আবহাওয়াগত সমস্যা , ওজনের কম বেশি করণ ও জনপ্রতিনিধিদের উদাসিনতাব প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে সরকারের দেয়া ১০ কেজি নামে এই সুবিধা জনগন কতোটুকু জনকল্যাণকর ও করোনা কালিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা শ্রেণি পেশা মানুষের।
উল্লেখ্য যে, গত ঈদু ফিতরে ভিজিএফ এর নামে চালের পরির্বতে ৪৫০ টাকা করে প্রদান করা হয়। নাম প্রকাশ না করতে হাফ ডজন চেয়ারম্যানগন বলেন- আমরা কিছুদিন যাবৎ মানুষের ফোন,আনাঘোনা,প্রশ্নের মুখোমুখি গালিগালাজ শোনা এবং শারীরিক- মানুষিক চাপ থেকে মুক্ত ছিলাম।এখন করোনার পাদুর্ভাব বৃদ্ধির সময় এপস্ এর মাধ্যমে চাল দিতে হবে,তালিকা করে অনুমোদন নিয়ে গোডাউন থেকে চাল তুলে নিয়ে আসা,নিজেদের পকেট থেকে চাল তোলার লেভার খরচ,কেয়ারিং খরচ,বিতরণের সময় জনবল বৃদ্ধি করাসহ নানাবিধ প্রতি চেয়ারম্যানদের প্রায় ৬০/৯০ হাজার টাকা খরচ হয় এই খরচ ও মানসিক চাপ এবং ওজনে কম প্রদানে দুর্নাম বয়তে হবে।গত ভিজিএফ যে নিয়মে ৪৫০ টাকা করে দেয়া হয়েছিল তাতে আমাদের চাপ,সমস্যা ও খরচ কম হয়েছে এবং জনগনের গেদারিং কম ও সেবার মানবহুগুনে ভাল ছিলো, যা অল্প সময়েই শেষ করা সম্ভব হয়ে ছিলো। আমরা হুকুমের পোলাম।প্রতিবাদ,পরামর্শ দান, বাস্তবতার কথা বলতে পারিনা বা আমাদের কথা কেউ মূল্যায়ন করে না। এই নিয়মের ফলে যেমন পাবলিক ঠকবে, তেমনি সময় বেশি লেগে স্বস্থ্যঝুকিতে থেকে ভোগান্তির স্বীকার হবে বলে ধারণা। এ ব্যাপারে জানতে চাইল- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান- আমাদের কিছু বলার ও করার নাই উর্ধ্বতন মহলের সিদান্ত প্রতিফলন করাই আমাদের কাজ।