র্যাবের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মোঃ মাঈন উদ্দিন (৩৩) ও আব্দুল মান্নান পন্ডিত (৪৬) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-৩ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।
ভুক্তভাগী আব্দুল বাকের, মোঃ সাইফুল ইসলাম ও সালেহ আহাম্মেদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার (৯ জুলাই) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউপির রফিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে উভয়কে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত আলামত “র্যাব ১১ লক্ষীপুর স্টুডিয়াম” শিরানামে ৩২ জন ব্যাক্তির নামীয় তালিকা, নগদ ৩৫০০ টাকা, সীম যুক্ত ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাঈন উদ্দিন ও আব্দুল মান্নান বেগমগঞ্জ উপজেলার রফিকপুর এলাকার আব্দুর রশিদ ও ইমাম আলীর ছেলে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মাঈন উদ্দিন (৩৩) ও আব্দুল মান্নান পন্ডিত (৪৬), নুরনবী শিপন মেম্বার (৩৩), আবুল কালাম (৪৩), কালা মিয়া চকিদার (৩৮) র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় র্যাবের নাম করে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজী করে আসছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, আসামীগণ র্যাবের একটি ডুপ্লিকেট প্যাডে বিভিন্ন লোকর নামীয় তালিকা দেখিয়ে বলে “র্যাবর লিস্টে তাদের নাম রয়েছে, তাই তারা যে কোনা সময় র্যাবের হাতে আটক হতে পারে বলে হুমকি দেয়। তাদরকে র্যাবের লিস্ট থেকে নাম কাটাতে হলে র্যাবকে বিশ/ত্রিশ হাজার করে টাকা দিলে নাম কাটানোর ব্যবস্থা কের দিতে পারবে বলে এলাকায় লোকজনদের কাছ থেকে নগদ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে প্রতারকরা। কয়েকটি নাম্বার থেকেও বিভিন্ন সময়ে এলাকার লোকদের হুমকি দিয়ে আসছে। উল্লেখ্য কয়েকজন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের মধ্য থেকে দুই জনকে আটক করা হয়। বাকি অভিযুক্ত নুরনবী শিপন মেম্বার (৩৩), আবুল কালাম (৪৩), কালা মিয়া চকিদার (৩৮) কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-৩, লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায় এজাহার দায়রে করা হয়েছে, পলাতক আসামীদর গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দেশ যুগান্তর/আরজে