সিলেটের বিশ্বনাথে রাস্তা-ঘাটে যানবাহন ও মানুষের চলাচল অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। কার্যকর হচ্ছেনা আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা। উপজেলা সদরের চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই যে, কঠোর লকডাউন চলছে। বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নানা অজুহাতে ঘুরাফেরা করছেন মানুষ। মানা হচ্ছেনা সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি। এখনও মাস্ক পড়ায় অনীহা অনেকের। পড়লেও অধিকাংশ মানুষের মাস্ক নেই যথাস্থানে। আইনশৃংখলা বাহিনী ও ভ্রাম্যামান আদালতের অভিযানেও সড়কে কমছেনা মানুষ ও যানবাহনের চলাচল।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ব্যটারি চালিত অটোরিকশায় এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছেন মানুষজন। বড় শপিংমল বন্ধ থাকলেও খোলা হয়েছে অলি-গলির প্রায় দোকানপাট। এতে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলার নতুনবাজার ও পুরাতনবাজারে বেড়েছে মানুষের অস্বাভাবিক উপস্থিতি। বেড়েছে রাস্তায় বেড়েছে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত রিকশার চলাচল। লক্ষ্য করা গেছে অপ্রয়োজনে মানুষের ঘোরাঘুরি। মাস্ক বিহীন একাধিক ব্যক্তিকে ব্রীজের রেলিংয়ে বসে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
লকডাউন বাস্তবায়নে নতুনবাজারে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সময় এদিক-সেদিক ছুটে যান মানুষ। তারা চলে যাবার পর ফের স্বাভাবিক চলাচল বাড়ে মানুষের। সদরের বড় শপিং সেন্টার বন্ধ থাকলেও অলি-গলির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেছেন অনেক ব্যবসায়ী। এতে করোনা সংক্রমণের এই সময়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।