চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাজুল কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসায় মো. ইয়াসিন ফরহাদ (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মুহাম্মদ ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সেখানে যাওয়ার পর পুলিশের কাছে তার ভুল স্বীকার করেছেন সেই শিক্ষক। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ওইদিন ছেলের জন্মদিনে তাকে দেখতে গিয়েছিল তার মা। আধঘণ্টার মতো ছেলের সঙ্গে সময় কাটিয়ে মা যখন ফিরছেন, তখন ওই শিশুটি মায়ের পিছু পিছু হাঁটতে শুরু করে।
পরে তিনি (শিক্ষক) শিশুটিকে ঘাড় ধরে ফিরিয়ে আনেন, এরপর তাকে নিয়ে একটি কক্ষে প্রবেশ করেন, এরপর তাকে মারতে শুরু করেন।
নির্যাতনকারী ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। গত তিন মাস ধরে তিনি ওই আবাসিক মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন।
মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আরও জানান, নির্যাতনের ঘটনায় তিনি শিশুটির মা-বাবার কাছে মাফ চেয়েছেন। তিনি এও জানান, জন্মদিনে শিশুটির মা ছেলের জন্য মিষ্টি ও চকলেট নিয়ে এসেছিলেন। এমনকি তাকে (মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে) নাস্তা খাওয়ার জন্য মা দুইশো টাকাও দিয়েছিলেন। এরপর মা যখন চলে যাচ্ছেন, সেসময় শিশুটি দৌড়ে মাদরাসার বাইরে বেরিয়ে রাঙ্গামাটি-হাটহাজারী চৌরাস্তায় চলে যায়।
পরে তিনি শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে আনতে রেগে গিয়েছিলেন। শিক্ষক ইয়াহিয়া বলেন, আসলে ভিডিওতে যে রকম মারতে দেখা যাচ্ছে, অত জোরে আমি মারি নাই, বেতটাও ছিল হাফ বেত, এক বিঘতের চেয়ে একটু বড় সাইজ। বেশি জোরে লাগে না। কিন্তু আমার অন্যায় হইছে, ওইভাবে মারা উচিত হয় নাই।