করোনার কঠোর বিধি নিষেধ উঠিয়ে নেয়ার পর, ঈদুল আজহকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে নিয়মিত বসছে একাধিক কোরবানির পশুর হাট।
স্থায়ী চারটি হাটের পাশাপাশি এ বছর অস্থায়ী ইজারা দেয়া হয়েছে আরও ছয়টি হাটের। এসব হাটে কোরবানির পশু তুলছেন খামারি ও ব্যাপারীরা। ঈদের আর মাত্র চারদিন বাকি, তবুও জমছেনা কোন পশুর হাট। ক্রেতাশূণ্য হাটে নির্বাক বসে থাকতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের। জানা যায়, উপজেলায় চারটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি এবার ইজারা দেয়া হয়েছে অস্থায়ী আরও ছয়টি হাটের।
এ ছাড়াও বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে (স্কুল মাঠ, রাস্তার পাশে ও বাড়ির সামনে) হাসিল ও টোল ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবারি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের বিশেষ নিদের্শনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও পশু বেচা-কেনায় অনলাইন প্ল্যাটর্ফম চালু করেছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তর। নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটর্ফম ছাড়াও সোস্যাল মিডিয়ায় পশুর ছবি সম্বলিত বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে করে মাঠের চেয়ে কেনা-বেচা বেড়েছে অনলাইনে।
গেল শুক্রবার (১৬ জুলাই) সরেজমিন বিশ্বনাথ-নাজিরবাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে বিভিন্ন রকম ও মূল্যের দেশীয় জাতের কোরবানির গরু-ছাগল এনেছেন ব্যাপারিরা। প্রায় হাজার খানেক পশু নিয়ে শুরু হয় হাট। দীর্ঘ সময়ে বিক্রি হয় মাত্র ৩০-৩৫টি পশু। হাট শেষে অনেকটা হতাশা নিয়ে ফিরেছেন বিক্রেতারা।
হাটে ছিলনা স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অধিকাংশই পড়েননি মাস্ক। বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও উৎসুক মানুষের বিচরণ ছিল বেশি।
ব্যাপারিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এবারে ঈদকে সামনে রেখে বেশিরর ভাগ খামারি দেশীয় জাতের গরু পালন করেছেন। অনেক কৃষক পরিবার ঈদের বিক্রি করে দু’পয়সা মনাফার আশায় সারা বছরই লালন-পালন করেছেন ১-২টি করে গবাদি পশু।
কিন্তু এবারে উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু রয়েছে। সে অনুপাতে ক্রেতা একেবারেই অপ্রতুল। এ অবস্থায় গরু বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুস শহীদ বলেন, এ বছর পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায়, অনলাইনে পশু বেচাকেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে ‘অনলাইন কোরবানির পশুর হাট’ নামের ফেসবুক পেজ। এর মাধ্যম বিকি-কিনিও হচ্ছে ভালো। তবে, সামনের দিনে হয়তো মাঠেও জমবে পশুর হাট।