সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের হাইস্কুল এন্ড কলেজ’ প্রতিষ্ঠানের পাশে নির্মানাধীন ইউনিয়ন পরিষদ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ইউনিয়ন অফিস ও হাইস্কুলের পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহমান বাসিয়া নদীর পশ্চিম তীরে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়। এ দুটি প্রতিষ্ঠান ও পাকা সড়ক রক্ষায় বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে নদী ভাঙ্গণ রোধ করার চেষ্টা করা হয়। গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার পানির তোড়ে ইউনিয়ন অফিসের দক্ষিনাংশে পাকা রাস্তার কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। স্কুলের গেইটের সামনের মোড়ে গাছ ও লতা-পাতা থাকায় তেমন ভাঙ্গন না হলেও পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীরের পাকা রাস্তাটি ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। পাকা রাস্তা বা নদীর তীর ভাঙ্গলে বিদ্যালয়ের গেইট, পাকারাস্তাসহ কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হতে পারে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক বছর ধরে একটু একটু করে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় পাকা রাস্তার নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। যেকোন সময় বড় রকমের ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজের মূখ থেকে ইউনিয়ন অফিসের দক্ষিণের বাড়ী পর্যন্ত নদীর তীরে গার্ড ওয়াল দেয়া একান্ত জরুরী।
এদিকে, স্থানীয় বাগিছা বাজার থেকে কাইয়াকাইর বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যান চলাচল করতে পারছে না। রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না মর্মে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খায়রুল আমীন আজাদ জানান, নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রাস্তা ও ইউনিয়ন অফিস-হাইস্কুল রক্ষায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কাজ করেছি। এখানে একটি প্রকল্প করে সরকারিভাবে নদী ভাঙ্গন রোধ করা একান্ত আবশ্যক।