ওলকচু চাষ করে লাভবান হওয়ার সপ্ন দেখছেন সিলেটের বিশ্বনাথের আপ্তাব আলী। সে উপজেলার কৃষিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ওলকচু’র চাষাবাদ। উপজেলায় প্রথমবারের মতো উচ্চফলনশীল এ সবজি চাষ করেছেন আফতাব আলীর নামের এক কৃষক।
স্থানীয়ভাবে অনেকটা অপরিচিত এ সবজি থেকে দ্বিগুণ মুনাফার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরেজমিনে অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে তার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ২০ শতক উঁচু জায়গার উপর ওলকচু চাষ করেছেন তিনি।
বাগানে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, বেড়ে উঠছে সারি সারি সবুজ ওলগাছ। কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পাতাগুলোকে দু’দিকে সাজিয়েছে গাছগুলো। এছাড়াও পাশাপাশি পৃথক পৃথক জায়গায় তিনি চাষ করেছেন মাল্টা-কমলাও। এসময় গাছের পরিচর্যা করছিলেন কৃষক আফতাব আলী।
তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন এ সবজি ‘ওলকচুর প্রদর্শনী’ আনেন তিনি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নিয়ে গেল এপ্রিল মাসে ২০ শতক জায়গায় চাষ করেন ওল। নাটোর থেকে ২৮ হাজার টাকায় বারি ওলকচু-১ জাতের ৭ মণ বীজ সংগ্রহ করে রোপণ করেন জমিতে। রোপণের দেড় মাসেই গজিয়ে ওঠে গাছ।
অল্পদিনেই পূর্ণতা পায় বাগান। সবমিলিয়ে এ প্রকল্পে খরচ হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্রত্যেক গাছের শেকড়ে মাটির নিচে সাধারণত ২০ কেজি ওজনের ওলকচু’র গুঁড়িকন্দ জন্মে। আগামী অক্টোবর মাসে ফসল উত্তোলন করবেন তিনি। প্রকৃতি সদয় থাকলে এ জমি থেকে পাওয়া যাবে ২০০-২৫০ মণ ওল।
সে হিসাবে খরচ বাদে ৮০-৯০ হাজার টাকা মুুনাফা করার স্বপ্ন রয়েছে তার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, সব অঞ্চলেই উঁচু জমিতে ওলকচু চাষ করা যায়। অল্প ও পরিত্যক্ত জমিতে ওল চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। ওল চাষে চাষীদের সবধরণের পরামর্শ ও উৎসাহ দিচ্ছি আমরা।